ঘূর্ণিঝড় রেমালের পাষণ্ডতায় সুন্দরবনের জীববৈচিত্র্যের যে অপরিসীম ক্ষতি হয়েছে তা অপূরনীয়। গেল চারদিনে সুন্দরবন থেকে ১১৭টি প্রাণীর মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এদিকে সুন্দরবন থেকে জীবিত হরিণ লোকালয়ে আসতে শুরু করেছে বলে জানা গেছে।
খুলনা অঞ্চলের বন সংরক্ষক মিহির কুমার দে বলেন, গত মঙ্গলবার থেকে সুন্দরবনে তল্লাশি করে প্রতিদিন তারা মৃত অবস্থায় হরিণ উদ্ধার করছে। শুক্রবারও বনের বিভিন্ন এলাকা থেকে তাঁরা ১৫টি মৃত হরিণ উদ্ধার করে। এর মধ্যে কয়েকটি হরিণের দেহ অনেকাংশে পচে গেছে। এ নিয়ে গত মঙ্গলবার থেকে শুক্রবার পর্যন্ত তারা ১১১টি মৃত হরিণ, ৫টি বন্য শূকর, এবং একটি অজগর উদ্ধার করা হলো।
তিনি আরও বলেন, এ ছাড়া জলোচ্ছ্বাসে নদীতে ভাসতে থাকা জীবিত ১৮টি হরিণ উদ্ধার করে অবমুক্ত করা হয়েছে। এখনো বনের মধ্যে বন বিভাগের সদস্যরা তল্লাশি করছেন। দু-এক দিনের মধ্যে তল্লাশি শেষ করা হবে।
জানতে চাইলে তিনি বলেন, ভয় পেয়ে হরিণ লোকালয়ে আসতে পারে। বনের কোথাও আর কোনো বন্যপ্রাণী মরে পড়ে আছে কি না, তা ঘুরে দেখছেন বন বিভাগের সদস্যরা। তালিকা পাওয়ার পর সুন্দরবনের ক্ষয়ক্ষতির তথ্য পাওয়া যাবে।