রবিবার, ১৪ ডিসেম্বর ২০২৫, ০১:২৪ অপরাহ্ন

মাগুরার বলু গ্রামে সালিশ কে কেন্দ্র করে সংঘর্ষ, স্ট্রোকে মৃত্যু—লুটপাট ও অগ্নিসংযোগের অভিযোগে সংবাদ সম্মেলন

মাগুরা জেলা সংবাদদাতা
  • Update Time : বুধবার, ২৯ অক্টোবর, ২০২৫
  • ৫৫ Time View

মাগুরা জেলার বলু গ্রামে সালিশকে কেন্দ্র করে এক হৃদয়বিদারক ঘটনার অভিযোগে এক সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার (২৯ অক্টোবর ২০২৫) সকাল ১১টায় মাগুরা প্রেস ক্লাবে আয়োজিত এই সংবাদ সম্মেলনে ভুক্তভোগী মিসেস হালিমা খাতুন (আনোয়ারের স্ত্রী) অভিযোগ করে বলেন, সালিশ চলাকালীন তার পরিবারের উপর অতর্কিত হামলা, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগ চালানো হয়।

সংবাদ সম্মেলনে তিনি জানান, তার স্বামী মোঃ আনোয়ার হোসেন দীর্ঘদিন ধরে বলু গ্রামে প্রায় ১২০ বিঘা জমিতে “এন এন এগ্রো” নামে একটি কৃষি খামার পরিচালনা করে আসছিলেন। সেখানে মাছ, গবাদি পশু, হাঁস-মুরগি ও বিভিন্ন মৌসুমি ফসল উৎপাদন করা হতো। কিন্তু দীর্ঘদিন ধরেই স্থানীয় একদল প্রভাবশালী ব্যক্তিরা তাদের জমি ও খামার দখলের চেষ্টা চালিয়ে আসছিল।

তিনি বলেন, “আমাদের ফসল বারবার কেটে নিয়ে যাওয়া, হুমকি-ধমকি দেওয়া ও শারীরিকভাবে আক্রমণের ঘটনা ঘটলেও প্রশাসনের কোনো কার্যকর পদক্ষেপ পাইনি। শত্রুজিৎপুর পুলিশ ক্যাম্প, থানায় অভিযোগ দিয়েও কোনো সমাধান পাইনি। এমনকি সেনা ক্যাম্প ও জেলা প্রশাসকের কার্যালয়েও অভিযোগ জানানো হয়, কিন্তু ফল মেলেনি।”

ভুক্তভোগীর অভিযোগ, গত ২৩ অক্টোবর তারিখে তার স্বামী, ছেলে ও দেবরের উপর হামলা চালানো হয়। তারা আহত অবস্থায় মাগুরা সদর হাসপাতালে ভর্তি হন। পরদিন স্থানীয়ভাবে সালিশ বসলে তা তাদের পক্ষে রায় দিলে অভিযুক্তরা ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে এবং অতর্কিত হামলা চালায়। এতে তার আত্মীয় বাদশা মোল্লা হঠাৎ অসুস্থ হয়ে স্ট্রোক করে মারা যান। কিন্তু এই ঘটনাকে প্রতিপক্ষরা “হত্যা” হিসেবে চালিয়ে দেয় এবং উল্টো তাদের পরিবারের বিরুদ্ধে মামলা দেয়। এ সময় তাদের বসতবাড়িতে লুটপাট, অগ্নিসংযোগ ও কৃষি খামারের ফসল ও সম্পদ লুট করা হয়।

তার ভাষায়, “আমার ঘরবাড়ি জ্বালিয়ে দিয়েছে, ৩০০ মন ধান, ২ লাখ টাকার পেয়ারা, গবাদি পশু, ঘরের সব জিনিসপত্র, এমনকি ৫ ভরি স্বর্ণালঙ্কার ও নগদ ১ লাখ ৫০ হাজার টাকা নিয়ে গেছে। আমি ছোট সন্তানকে নিয়ে এক কাপড়ে প্রাণ বাঁচিয়ে পালিয়ে এসেছি।”

তিনি অভিযোগ করেন, উল্টো তার স্বামী-পরিবারের বিরুদ্ধে মিথ্যা হত্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করা হচ্ছে।

সংবাদ সম্মেলনে হালিমা খাতুন অভিযোগ করেন, হাশেম আলী, আসাদ মোল্লা, হাফিজার মোল্লা, সাইদ মোল্লা, আকাশ মোল্লাসহ ৫০-৬০ জন এই হামলা, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগে সরাসরি জড়িত।

তিনি প্রশাসনের কাছে ঘটনাটির সুষ্ঠু তদন্ত ও দায়ীদের শাস্তির দাবি জানান।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
© All rights reserved © 2025 Toroni24 Tv.
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com