বৃহস্পতিবার, ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৪:০৬ পূর্বাহ্ন

অস্ট্রেলিয়ায় চ্যাম্পিয়ন-রানারআপসহ ৩ পুরস্কার জিতল জবি সিএসই

জবি প্রতিনিধি
  • Update Time : শনিবার, ৩০ আগস্ট, ২০২৫
  • ৫১ Time View

গত ২৯ জুলাই অস্ট্রেলিয়ার সিডনিতে অনুষ্ঠিত কোডিং ফেস্টে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সিএসই ডিপার্টমেন্টের তিনটি দল অংশগ্রহণ করে।

এর মধ্যে মোঃ রাশেদুল আলম, অধ্যাপক ড. জুলফিকার মাহমুদ এবং ড. সজীব সাহা প্রণীত “Disaster Aid” প্রকল্পটি “AI for Safety, Risk, and Resilience” ক্যাটাগরিতে বেস্ট প্রজেক্ট চ্যাম্পিয়ন এওয়ার্ড অর্জন করেছে।

এই প্রজেক্ট নিয়ে রাশেদুল ইসলাম বলেন,”আর ডিজাস্টার এইড একটা AI Powered Drone নিয়ে যেইটা আনলিমিটেড ব্যাটারি ব্যাকাপ থাকে, অর্থাৎ সাধারণ ড্রোন এর মত না যে ৩-৪ ঘণ্টা ব্যাকাপ। বন্যা কবলিত যায়গা গুলায় এইটারে জিও লোকেশন দিয়ে দিলে একাই এলাকা কভার করে এক্সাক্টলি কোন কোন জায়গায় মানুষ আছে, কতজন আছে, কি অবস্থায় আছে, জিবত না মৃত, কোন কোন জিনিস আছে রিয়্যাল টাইকে ডিটেক্ট করে সেইটা পাঠাবে। আর চার্জ লাগবে না, সোলার বেসড হবে এইটা, আর সূর্যের আলো সরাসরি না পরলেও সমস্যা হবেনা।


যেহেতু বন্যার টাইম আমাদের দেশে বেশি না, বন্যার টাইম বাদে এইটাকে জনবহুল এলাকায় ইউজ করা যাবে মেয়েদের প্রটেকশন এ, কাউকে উত্ত্যক্ত করলে সেই মেয়ে আশে পাশে যদি এই ড্রোন থাকে এবং সে যদি (স্পেসিফিক সাইন আছে হাতের) সেইটা দিলে ড্রোন পাশের পুলিশ বক্সের এলার্ট পাঠাবে ছবি সহ। এমনিতে এমন ড্রোন কিনতে গেলে খরচ হয় ৩-৪ লাখ টাকা । কিন্তু এইটা বানানোর খরচ ৭৮৬৭০ টাকা – ৭৯০০০ এর মত লাগবে মাত্র।

আর এর সামনে একটা ছোট র‍্যাক টাইপের থাকবে যেইটায় ৫০০গ্রাম পর্যন্ত জিনিস বহন করা যাবে। বাসার ছাদে আটকে পরা মানুষ দের পানি বিশুধকরণ ট্যাবলেট স্যালাইন দেয়ার ক্ষেত্রে। গত বছর ফেনীর বন্যায় দেখা গেছে লোকেশন না পাওয়ায় অনেকের কাছে সাহায্য যায়নি বা পরে গিয়েছে আবার অনেকে একাধিকবার সাহায্য পেয়েছে ওইখান থেকেই এই আইডিয়া আসে। আর কাজ শুরু, এইটা প্রোটোটাইপ হিসেবে আছে৷ ডেপ্লয়মেন্ট এ যাবে আশা করি।

এছাড়াও একই ক্যাটাগরিতে চ্যাম্পিয়ন হয় হাবিবুর রহমান রিফাত, আরুন রায়, মো. শামীম বিন শাহিদ, এবং অধ্যাপক ড. মো. মনোয়ারুল ইসলাম এর টিম। যার শিরোনাম ছিলো, “A Lightweight and Explainable CNN Model for Detecting Microplastics from Holographic Images”, এই প্রকল্পে হালকা ও ব্যাখ্যাযোগ্য সিএনএন আর্কিটেকচার ও হোলোগ্রাফিক ইমেজিং ব্যবহার করে সীমিত সম্পদে দ্রুত ও নির্ভুল মাইক্রোপ্লাস্টিক শনাক্তকরণের একটি নতুন পদ্ধতি প্রস্তাব করা হয়েছে। এই সমাধান পরিবেশগত পর্যবেক্ষণ ও তথ্য-ভিত্তিক নীতিনির্ধারণে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখতে পারে।

তৃতীয় টিম যারা রানার্সআপ হন, তারা হলেন, ফাহিম হাসান, মোসাঃ শিমা আক্তার, সেলিনা শারমিন ও সজীব সাহা। তাদের প্রজেক্টের শিরোনাম ছিলো,”Enhanced Graph Signal Reconstruction Using Adaptive and Multi-Scale Clustering Techniques”। এটা নিয়ে ফাহিম হাসান বলেন,” এটা বেসিকালি ডাটা রিকনস্ট্রাকশন নিয়ে কাজ করে আমরা কিভাবে ডাটা লস কমাতে পারি রিকনস্ট্রাকশন পলিসি এপ্লাই করে, এটা নিয়েই আমাদের প্রজেক্ট ।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
© All rights reserved © 2024 Toroni24 Tv.
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com