মুন্সীগঞ্জ জেলার হাট বাজার গুলোতে আলু ও পেঁয়াজের দাম বেড়েই চলছে। আলু এবং পেঁয়াজের মৌসুমে এভাবে দাম বৃদ্ধির কারণে বিপাকে পড়েছেন তোতা সাধারণ। তারা
বলছেন, এক সময় স্লোগান ছিল ‘বেশি করে আলু খান, তাতের
ওপর চাপ কমান’। সপ্তাহে সেই আলু এখন তাতের চেয়ে দামী হয়ে গেছে। রীতিমতো বাজারে এখন নামি পণ্যে পরিণত হয়েছে আলু। মৌসুম শেষ হওয়ার আগেই পণ্যটির নাম হঠাৎ
লাফিয়ে বেড়ে চালের দামকে হাড়িয়ে যাচ্ছে। খুচরা বাজারে যেখানে এক কেজি মোটা চাল ৫০ থেকে ৫২ টাকায় পাওয়া যায়, সেখানে আলু বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ৫৫ টাকায়।
এলাকা ও দোকান তেলে বেশি দামেও বিক্রি হচ্ছে। অথচ সংশ্লিষ্টরা বলছেন, আগামী মে মাস পর্যন্ত আলুর মৌসুম
রয়েছে। এরই মধ্যে এমন হারে দাম বাড়ার কথা নয়। বছরের এমন সময় আলুর মূল্য বৃদ্ধিকে অস্বাভাবিক বলছেন ব্যবসায়ীরা। অপরদিকে মাত্র ২ দিনের ব্যবধানে প্রতি কেজি পেঁয়াজে দাম বেড়েছে ৫ থেকে ৭ টাকা। বিভিন্ন বাজার ঘুরে ও
ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ঈদ পরবর্তী বাজারে
হঠাৎ করেই জেলার পাইকারি বাজারগুলোতে আলুর দাম
লাফিয়ে বেড়েছে। গত চার দিনের ব্যবধানেই বেড়েছে ৫ থেকে ৭ টাকা পর্যন্ত। এর প্রভাব পড়েছে দুচরা বাজারেও।
সপ্তাহের ব্যবধানে প্রতি কেজিতে ১০ টাকা বেড়েছে পেঁয়াজে বেড়েছে প্রতি কেজিতে ৫ টাকা। বাগিয়া বাজারের খুচরা বিক্রেতা রবি দাস জানান, বাজারে এখন ৫৫ টাকার নিচে আলু নেই। পাইকারিতে আলু কেনার খরচই পড়েছে প্রায় ৫০
টাকা। ঈদের আগে ৪৫ টাকার আশপাশে বিক্রি হয়েছে। তার
আগে আরও কমে বিক্রি হয়েছে।’আগে আলু সে ছিল। অন্য সব কিছুর নাম বাড়লে মানুষ আলু বাইতো। আর এখন আলুর কেজি চাউলের দামের সমান হইয়া গেছে।
সামান্য আলুও ৫৫ টাকার নিচে নাই। অথচ, এখন আলুর
মৌসুম চলেছে। বাজারে কোনো কিছুই গরিবের নাগালে নাই।’ সচেতন ক্রেতারা বলেছেন, সাধারণত কৃষকের হাতে
আলু কুরালে হিমাগার গুলোতে কারসাজি হয়। এবার মৌসুে
মর মধ্যেই দাম ৫৫ টাকা ছাড়িয়েছে। যেখানে আলু আমদানি ও হচ্ছে ।
এমন পরিস্থিতিতে আলুর এত দাম অবশ্যই অস্বাভাবিক। এটা
এটা বাজার অব্যবস্থাপনারই একটা
প্রতিচ্ছবি ।স্থানীয় অনেক ব্যবসায়ী পালন নিয়ে কৃষকদের কাছ
থেকে আগেই ক্ষেতের আলু কিনে রেখেছেন। এর আগে বারবার কারসাজি করে লাভবান হওয়ায় এবার তারা আগেই শুরু করেছেন। এসব মধ্যস্বত্বভোগীরাই নাম বাড়িয়ে নিচ্ছে।