মুন্সীগঞ্জের সিরাজদিখানে চাঞ্চল্যকর আবুল হাশেম হত্যা মামলার তিন আসামীকে ঘটনার ২ দিনের মধ্যে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
এ বিষয়ে বুধবার ৫ জুন বেলা ১১ টায় সিরাজদিখান থানায় ওসির কক্ষে প্রেস ব্রিফিং করেন সহকারি পুলিশ সুপার মোস্তাফিজুর রহমান রিফাত।এ সময় সাথে ছিলেন থানার ওসি মো:মুজাহিদুল ইসলাম।
ব্রিফিংয়ে সহকারি পুলিশ সুপার বলেন,এটি নির্বাচনি সহিংসতা বা কোন রাজনৈতিক ঘটনা নয়।এটা আধিপত্য নিয়ে উপজেলার রামকৃষ্ণদি গ্রামে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে হত্যাকান্ডটি ঘটে।নিহত আবুল হাশেম(৪৫)সে উপজেলার চর কুন্দলিয়া গ্রামের সুলতান মিয়ার ছেলে ও বাসাইল ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান সাইফুল ইসলামের ব্যাক্তগত গাড়ি চালক ছিলো। ৩ মে সোমবার বিকাল সাড় ৩ টার দিকে লতব্দী ইউনিয়নের রামকৃষ্ণদি গ্রামে পাকা রাস্তার উপরে রামদা,টেটা-বল্লম দিয়ে কুপিয়ে তাকে খুন করা হয়।এর আগে ক্রিকেট খেলা নিয়ে ঐ এলাকায় দুই গ্রাম বাসীর মধ্যে মারামারির ঘটনা ঘটেছিল তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থলে পুলিশ গিয়ে নিযন্ত্রণে আনে।খুনের ঘটনায় চাঞ্চল্যকর আরো তথ্য আমরা পেয়েছি,তদন্তের স্বার্থে তা এখন প্রকাশ করা হচ্ছে না।ফলোআপ হিসেবে এ প্রেস ব্রিফিং করা হলো।খুব শীগ্রই আমরা প্রধান আসামিসহ বাকিদের গ্রেফতার করতে সক্ষম হবো।নিহতের স্ত্রী সখিনা বেগম ৪ মে বাদী হয়ে সিরাজদিখান থানায় হত্যা মামলা করেন,পাশাপাশি আমাদের তদন্ত চলমান ও আসামীদের ধরতে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
গ্রেফতারকৃত এজাহারনামীয় ৫নং আসামী নাছির খান (৩৫),পিতা-আয়নাল খান,১৩নং আসামী ইকবাল খান (৩৮), পিতা-পিয়ারুল খান @ পারুল এবং ১৫নং আসামী মোঃ নাইম @ বাপ্পি (১৮), পিতা-নাজমুল শেখ, সর্ব সাং-রামকৃষ্ণদি, থানা-সিরাজদিখান তাদেরকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হই। তাদেরকে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে আদালতে পাঠানে হয়েছে।