ছাত্রদল নেতাকে হত্যা চেষ্টার অভিযোগে জামালপুর পৌরসভার মেয়রসহ আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী সংগঠনের ৬২ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হয়েছে। জেলা ছাত্রদল নেতা আব্দুল করিম কামরানের ওপর হামলার ঘটনায় তার স্ত্রী সুরাইয়া আক্তার জুঁই বাদী হয়ে বৃহস্পতিবার ১৫ আগষ্ট/২৪ মামলাটি দায়ের করেন।
ঐ মামলায় জামালপুর পৌরসভার মেয়র ও পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ ছানোয়ার হোসেন ছানুকে প্রধান করে ৬২ জন নেতাকর্মীকে আসামি করা হয়েছে।
মামলার অন্যান্য আসামিরা হলেন,জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বিজন কুমার চন্দ,সদস্য সুরুজ্জামান,পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি মাসুম রেজা রহিম,জেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক ফারহান আহম্মেদ, জেলা আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ছরোয়ার হোসেন শান্ত, যুব ও ক্রীড়া সম্পাদক নাঈম রহমান,জেলা শ্রমিক লীগের সভাপতি মশিউর রহমান বাবুসহ আরও অনেকেই। গত বুধবার রাতে জামালপুর সদর থানায় এ মামলাটি দায়ের করা হয়। আহত আব্দুল করিম কামরান জেলা ছাত্রদলের সহ-সভাপতির দায়িত্ব পালন করছেন। গত ১৯ জুলাই তার ওপর এ হামলার ঘটনা ঘটে।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, ১৯ জুলাই বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে মোটরসাইকেল যোগে পুরাতন বাইপাস মোড় থেকে গেটপাড় এলাকায় যাচ্ছিলেন ছাত্রদল নেতা কামরান। এসময় জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বিজন কুমার চন্দের হুকুমে এবং নেতৃত্বে পৌর মেয়র ও পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ ছানোয়ার হোসেন ছানুসহ মামলার অন্যান্য আসামিরা দেশীয় অস্ত্র, শটগান, পিস্তল নিয়ে একযোগে ওই ছাত্রদলনেতার ওপর হামলা করেন। হামলায় ছাত্রদল নেতা কামরান গুরুতর আহত হন। বর্তমানে তিনি জামালপুর সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
মামলার বাদী জুঁই জানান, আমার স্বামীা কামরান বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের একটি প্রোগ্রাম শেষে বাড়ি ফিরছিলেন। এ সময় মামলায় অভিযুক্তরা তাঁর ওপর হামলা চালিয়ে তার হাত ভেঙে দেয় ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে গুরুতর জখম করে।
এ বিষয়ে সদর থানার ওসি মোহাম্মদ মহব্বত কবীর বলেন,হত্যাচেষ্টার অভিযোগে ৬২ জনের নামে একটি মামলা দায়ের হয়েছে। তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।