মুন্সীগঞ্জ প্রতিনিধি -২৩ আগস্ট (শুক্রবার) ব্যবসা সংক্রান্ত কাজে ঢাকার সায়দাবাদ বাস টার্মিনাল থেকে সোহাগ পরিবহনের বাসে যশোরের বেনাপোল যান মুন্সিগঞ্জ সদরের মিরকাদিম পৌরসভার মিরাপাড়া এলাকার রুপক কর্মকার (৩১)।
কথা ছিলো পরদিন ফিরে আসবেন বাড়িতে। সেই অনুযায়ী বাসের ফিরতি টিকেটও কেনেন তিনি। পরিকল্পনা অনুযায়ী পরেরদিন শনিবার (২৪ আগস্ট) সকাল ৯টার দিকে একই পরিবহনের বাসে করে ঢাকার গোলাপবাগের উদ্দেশ্যে রওনা হন রুপক। বাস কাউন্টারের তালিকা থেকে জানা যায়, রুপকের পাশের সিটে বসেন কুমিল্লা জেলার অভিজিৎ রয় নামের একজন।
অভিজিৎয়ের মোবাইল নাম্বারে যোগাযোগ করে হলে তিনি জানান, পথে রুপক আর সে নেমে দুপুরের খাবার সারেন একসাথে। ঢাকায় পৌছানোর অল্প কিছুক্ষণ আগে অভিজিৎয়ের কাছ থেকে ফোন নিয়ে নিখোঁজ রুপক মো. সুমন নামের একজনকে ফোন করে ৩৮ সেকেন্ড কথা বলেন। তখনই নাম্বারটি রয়ে যায় অভিজিৎয়ের ফোনো। দুপুর ৩টা ১৫ মিনিটের দিকে বাসটি ঢাকার গোলাপবাগে পৌছালে নেমে যান রুপক। এরপর থেকেই নিখোঁজ সে।
পরিবারের পক্ষ থেকে রুপকের ব্যবহৃত মোবাইল ফোন-সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তার কোন হদিস পাওয়া যায়নি আজ রোববার রাত সাড়ে ১০ টা পর্যন্ত।
এদিকে এ ঘটনায় আজ দুপুর ১ টার দিকে যাত্রাবাড়ী থানা বরাবর একটি সাধারণ ডায়েরি করেছেন নিখোঁজ রুপক কর্মকারের পিতা গোপাল কর্মকার।
সংবাদকর্মীদের জানান, ‘আমার ছেলে ভারতসহ বিভিন্ন দেশ থেকে কসমেটিকস এনে ঢাকার চকবাজারসহ বিভিন্ন এলাকায় বিক্রির ব্যবসা করতো। বেনাপোলে তার নিয়মিত যাতায়াত ছিলো। এরকমভাবে নিখোঁজের ঘটনা কখনও ঘটেনি। রুপক বাস থেকে নামার আগে যে নাম্বারটিতে কথা বলেছিলো ওই ছেলের পরিচয় আমরা স্পষ্টভাবে জানতে পারছি না। ফোনে তার সাথে যোগাযোগ করা হলেও তার কথা অসংলগ্ন, পরিচয়ও দিচ্ছে না। তবে জানতে পেরেছি, তারা একসাথেই ব্যবসা করতো। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কাছে আমাদের অনুরোধ ওই ছেলেকে খুঁজে বের করে আমার ছেলের নিখোঁজের রহস্য উদঘাটন করা হোক।