দুর্নীতি দমন কমিশনের মহাপরিচালক (প্রতিরোধ) মো. আক্তার হোসেন ও একজন উপপরিচালকের বিরুদ্ধে চাঁদা দাবির অভিযোগ তুলেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আব্দুল্লাহ। পোস্টের সঙ্গে তিনি তিনটি হোয়াটসঅ্যাপ কল রেকর্ডও যুক্ত করেছেন।
অপরদিকে হাসনাতের বিষয়টি তাৎক্ষণিক প্রতিবাদ জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছেন দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) উপপরিচালক মো. আকতারুল ইসলাম। যাচাই-বাছাই ছাড়া সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পোস্ট করে দুদকের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করা হয়েছে বলেও হাসনাত আব্দুল্লাহ বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছেন তিনি।
‘স্বাধীন বাংলাদেশে দুদকের চা খাওয়ার বিল ১ লাখ টাকা’ শীর্ষক পোস্টে হাসনাত লিখেছেন, আপনার নামে দুর্নীতির কোনো অভিযোগ না থাকলেও সেটার ক্লিয়ারেন্স নিতে আপনাকে ১ লাখ টাকা দিতে হবে। সম্প্রতি মাহমুদা মিতুর কাছে থেকে এই টাকা চাওয়া হয়েছে দুদকের ডিজি আকতার আর তার ডিডি পরিচয়ে।
অন্যদিকে দুর্নীতি দমন কমিশনার বিবৃতিতে জানিয়েছে, একটি প্রতারক চক্র দুর্নীতি দমন কমিশনের চেয়ারম্যান, মহাপরিচালক বা কর্মকর্তা পরিচয়ে মামলা থেকে অব্যাহতি প্রদানের কথা বলে প্রতারণা করে আসছে। যার সঙ্গে দুদকের কর্মকর্তাদের কোনো সম্পর্ক নেই। দুদক ইতোমধ্যে এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা নিয়েছে এবং প্রতারক চক্রের অনেককে গ্রেফতারও করা হয়েছে।