বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ে (ববি) চলমান শিক্ষার্থী আন্দোলনের মুখে শিক্ষা মন্ত্রণালয় উপাচার্য অধ্যাপক ড. শুচিতা শরমিন, উপ-উপাচার্য অধ্যাপক গোলাম রাব্বানী এবং কোষাধ্যক্ষ মো. মামুন অর রশিদকে অপসারণ করেছে। মঙ্গলবার ১৩ মে রাতে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সহকারী সচিব এ এস এম কাশেম স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপনে এ সিদ্ধান্ত জানানো হয়। শিক্ষার্থীরা টানা ২৯ দিন ধরে প্রথমে ২২ দফা, পরে চার দফা দাবিতে আন্দোলন করে আসছিলেন। দাবি পূরণ না হওয়ায় তারা উপাচার্য অপসারণের এক দফা দাবিতে আন্দোলন চালিয়ে যান। এই আন্দোলনের অংশ হিসেবে শিক্ষার্থীরা আমরণ অনশন শুরু করেন এবং ঢাকা-কুয়াকাটা মহাসড়ক অবরোধ করেন। অবশেষে, শিক্ষার্থীদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে শিক্ষা মন্ত্রণালয় উপাচার্য, উপ-উপাচার্য ও কোষাধ্যক্ষকে অপসারণ করে। এই সিদ্ধান্তের পর শিক্ষার্থীরা আনন্দে উল্লাস প্রকাশ করেন।
এর আগে, গত ৬ মে ইউজিসির পক্ষ থেকে উপাচার্যের বিরুদ্ধে বিধি লঙ্ঘন ও প্রশাসনিক অনিয়মের অভিযোগ এনে একটি তদন্ত প্রতিবেদন পাঠানো হয় শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে।
ইউজিসির তদন্ত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কমিশনের অনুমোদন না নিয়ে পিএ-টু-ডিসি পদে এক বছরের জন্য চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ দেওয়া হয়, যা বিশ্ববিদ্যালয় আইনের পরিপন্থি। একইসঙ্গে, সিন্ডিকেটের অনুমোদন ছাড়াই বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার মনিরুল ইসলামের পিআরএল স্থগিত করে তাকে পুনরায় দায়িত্বে বহাল রাখা হয়। এমনকি, উপাচার্য নিজেই রেজিস্ট্রারের অতিরিক্ত দায়িত্ব গ্রহণ করেন, যা নজিরবিহীন এবং ‘বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় আইন, ২০০৬’-এর ১১ ধারার সঙ্গে সাংঘর্ষিক।