শনিবার, ০৫ অক্টোবর ২০২৪, ১২:২৩ অপরাহ্ন

রেমালের তান্ডবে খুলনায় প্রায় ৮০ হাজার বাড়ি-ঘর বিধ্বস্ত।

মোঃ আশিক, খুলনা প্রতিনিধি
  • Update Time : বৃহস্পতিবার, ৩০ মে, ২০২৪
  • ৩৫ Time View

খুলনার ৫৫টি পয়েন্টে বাঁধ ভেঙে ও উপচে জোয়ারের পানিতে তলিয়ে তলিয়ে অসংখ্য গ্রাম। পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন হাজার হাজার মানুষ। ঘূর্ণিঝড় রেমালের প্রভাবে সৃষ্ট জলোচ্ছ্বাসে খুলনার দাকোপ, কয়রা ও পাইকগাছা উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় বেড়িবাঁধ ভেঙে গেছে।  বিধ্বস্ত হয়েছে প্রায় ৭৭ হাজার বাড়িঘর। ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে প্রায় ৪ লাখ ৫২ হাজার ২০০ মানুষ। এ ছাড়া ফসলের মাঠ, ঘের-পুকুর লোনা পানিতে ভেসে গেছে

সোমবার (২৭ মে) বিকালে খুলনার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো. নাজমুল হুসেইন খাঁন এ তথ্য জানিয়েছেন।

জেলা প্রশাসনের নিয়ন্ত্রণ কক্ষের তথ্য বলছে, ঘূর্ণিঝড়ে জেলার ৭৬ হাজার ৯০৪টি ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত হয়েছে। বিভিন্ন ইউনিয়নের ৫২টি ওয়ার্ড সরাসরি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বিভিন্ন উপজেলার সঙ্গে খুলনা মহানগরীতেও অসংখ্য গাছপালা উপড়ে পড়েছে। ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে প্রায় ৪ লাখ ৫২ হাজার ২০০ মানুষ। ঘূর্ণিঝড় চলাকালে বটিয়াঘাটা উপজেলায় গাছ চাপা পড়ে লাল চাঁদ মোড়ল নামে একজনের মৃত্যু হয়েছে।

খুলনার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো. নাজমুল হুসেইন খাঁন বলেন, খুলনার ৪ লাখ ৫২ হাজার মানুষ দুর্যোগকবলিত হয়েছে। ২০ হাজার ৭০০ ঘর সম্পূর্ণ ও ৫৬ হাজার ঘর আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। রোববার (২৬ মে) রাতে ঘূর্ণিঝড়ে এক জনের মৃত্যু হয়েছে। আশ্রয়কেন্দ্রে অবস্থান নেওয়ার পর বটিয়াঘাটার বাসায় ফিরে যান লাল চাঁদ মোড়ল। এরপর তিনি গাছ চাপা পড়ে মারা যান।

এছাড়া ঘূর্ণিঝড় রেমালে লন্ডভন্ড হয়ে গেছে খুলনার উপকূল। এর প্রভাবে সৃষ্ট জলোচ্ছ্বাসে কয়রা উপকূলে বেড়িবাঁধ ভেঙে অন্তত ২০টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। এছাড়া দাকোপ উপজেলায় বাঁধ ভেঙে লোকালয়ে পানি ঢুকছে। উপজেলার শিবসা ও ঢাকী নদীর বাঁধ ভেঙে তিলডাঙ্গা ইউনিয়নের কামিনীবাসিয়া গ্রাম ছাড়াও ৪ ও ৫ নম্বর ওয়ার্ড এলাকা তলিয়ে গেছে।

রোববার (২৬ মে) দিবাগত রাতের এ ঘটনায় ভেসে গেছে চিংড়ির ঘের, ভেঙে গেছে কাঁচা ঘরবাড়ি ও দোকানপাট। ভারি বর্ষণ ও জোয়ারের পানিতে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ফসলের ক্ষেত, উপড়ে গেছে বহু গাছ। বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে অনেক এলাকা। এছাড়া, ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে ভারি বৃষ্টিতে প্লাবিত হয়েছে খুলনা মহানগরীর নিম্নাঞ্চল।


খুলনা আবহাওয়া অধিদপ্তরের ইনচার্জ আমিরুল আজাদ জানান, রোববার সন্ধ্যা ৬টা থেকে সোমবার সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত ১৬৩ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। বর্তমানে ঝড়ো হাওয়া ও হালকা বৃষ্টি বয়ে যাচ্ছে। রাতে এবং আগামীকাল বৃষ্টি থাকবে।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
© All rights reserved © 2024 Toroni24 Tv.
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com