জয়পুরহাটের আক্কেলপুর থানার এসআই ইউনুস আলী সাদা পোষাকে একক অবস্থান নিয়ে তার সোর্সকে পুলিশের পোশাক পরিয়ে বাড়তি সুবিধা পেতে কাজ করার সময় জনগণের রোষানলে পড়েছেন। পরে গণধোলাইয়ের থানা পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে তাদের উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়। ঘটনাটি বুধবার (৪ ডিসেম্বর) রাতে উপজেলার রুকিন্দীপুর ইউনিয়নের হালির মোড়ে ঘটেছে।
স্থানীয়রা জানায়, আক্কেলপুর থানার এসআই ইউনুস আলী সাদা পোশাকে পৌর সদরের আক্কেলপুর-জয়পুরহাট সড়কের কেচের মোড়ে সোর্স পারভেজসহ একক অবস্থান নেন। এ সময় সোর্সের গায়ে পুলিশ লিখা রিফলেকশন ভেস্ট ও পায়ে পুলিশের জুতা পরিয়ে বিভিন্ন যানবাহনে তল্লাশি করেন। এ সময় আক্কেলপুর থেকে জয়পুরহাটগামী একটি মোটরসাইকেলকে থামতে বললে মোটরসাইকেল আরোহি কথা অমান্য করে চলে যায়। তখন সোর্স পারভেজ অন্য একটি মোটরসাইকেলের সহযোগিতায় অমান্যকারী মোটরসাইকেলটিকে ধাঁওয়া করে এবং হালির মোড়ে গিয়ে আটক করেন এবং বাকবিতন্ডায় জড়িয়ে পরেন। এ সময় পারভেজের গতিবিধি সন্দেহজনক হলে স্থানীয়রা তাকে আটকে রেখে পরিচয় জানতে চান। সে নিজেকে কখনো পুলিশ কখনো সোর্স বলে দাবি করে। কিছুক্ষণ পর এসআই ইউনুস আলী তাকে উদ্ধার করতে গিয়ে পারভেজ থানার লোক দাবি করেন এবং তাকে ছেড়ে দিতে বললে বাকবিতন্ডা হয়। এক পর্যায়ে স্থানীয়রা দুজনকেই গণধোলাই দেন। পরে খবর পেয়ে থানা পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থল থেকে তাদের উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়।
পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আব্দুল ওয়াহাব বলেন, এ ঘটনায় বুধবার রাতেই আক্কেলপুর থানার এসআই ইউনুস আলীকে থানা থেকে প্রত্যাহার করে পুলিশ লাইনে সংযুক্ত করা হয়েছে। দু’জনের বিরুদ্ধেই আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সোর্স পারভেজ হোসেন নওগাঁর বদলগাছী উপজেলার চকবেনী গ্রামের নজরুল ইসলামের ছেলে।