সোমবার, ২১ এপ্রিল ২০২৫, ০৬:১৫ অপরাহ্ন

বর্ষা পেরিয়ে হেমন্তও শেষ তবুও যাচ্ছে না ডেঙ্গুর ভয়ংকর প্রকোপ

মুন্সীগঞ্জ প্রতিনিধিঃ
  • Update Time : বুধবার, ৩০ অক্টোবর, ২০২৪
  • ৮২ Time View

মুন্সীগঞ্জে বর্ষা পেরিয়ে হেমন্তের শেষে এসেও ডেঙ্গু ভয়ঙ্কর রুপে চোখ রাঙাচ্ছে।  লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা। এ পর্যন্ত শুধু মুন্সীগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে ৪২০জন ডেঙ্গু রোগী চিকিৎসা নিয়েছেন। শুধু অক্টোবর মাসের ২৯ তারিখ পর্যন্ত রেকর্ড সংখ্যাক ১৭১জন রোগী মুন্সীগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। বর্তমানে রেকর্ড সংখ্যাক ৩৮ জন ডেঙ্গু রোগী হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। গত সোমবার ভর্তি ছিল ৪৮ জন।  গত ২৪ ঘন্টায় নতুন করে ভর্তি হয়েছেন ১৩ জন ছুটি নিয়ে গেছেন ২৩ জন। এর আগে সেপ্টেম্বর মাসে চিকিৎসা নিয়েছে জেনারেল হাসপাতালে ১৪৮ জন। এ ছাড়া এ বছর জানুয়ারি মাসে ৮জন  ফেব্রুয়ারী মাসে ১জন, মার্চ মাসে ১ জন, মে মাসে ৭ জন  , জুনে ৬ জন ,জুলাইয়ে ১৩ জন, আগষ্ট মাসে ৩১ জন ডেঙ্গু রোগী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিয়েছেন।   ভর্তির বাইরেও ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা কয়েক গুণ। জেনারেল হাসপাতাল ছাড়াও মুন্সীগঞ্জের ৬ টি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্র হাসপাতলে বৃদ্ধি পেয়েছে ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা। গজারিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্র হাসপাতালে ভর্তি হয়ে এ বছর চিকিৎসা নিয়েছেন ৯৭ জন ডেঙ্গু রোগী । এখনো ভর্তি আছেন ৫ জন।

গ্রাম এলাকায় মশা নিধনে কোন কার্যক্রম নেই বললেই চলে। তবে এডিস মশার প্রজনন ক্ষেত্র নিয়ে পৌর কর্তৃপক্ষ উদাসীন আর রোগী নিয়ে চিকিৎসাকরা হিমশিম খাচ্ছে। বিছানার অভাবে মেঝেতে চিকিৎসা নিচ্ছেন অনেকে।

সদরের মুন্সীগঞ্জ পৌরসভা ইসলামপুর  ও মুন্সীগঞ্জ পৌরসভা মিরকাদিম পৌরসভার মাঝখানের পঞ্চসার এলাকায় ডেঙ্গুর প্রাদূর্ভাব বেশি। এসব এলাকায় সড়ক,  মাঠ-ঘাট, বাড়ির আঙ্গিণাসহ বিভিন্ন স্থানে জমে থাকা পানি আর আবর্জনার স্তুপ ডেঙ্গু মশা তৈরির কারখানায় পরিনত হয়েছে। পরিস্কার-পরিচ্ছন্নতার বড় অভাবে খোদ জেলা শহরের প্রধান সড়কের  আশপাশেও ময়লার ভাগারের সৃষ্টি হয়েছে।  মাত্র ১০ দশমিক ৮৫ কিলোমিটারের মন্সীগঞ্জ পৌরসভায় মশা নিধনে তেমন কার্যক্রম না থাকায়  অনেক এলাকায় ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা বাড়েই চলছে।

আর পাশের মিরকাদিম ও পঞ্চাসারের অবস্থা আরও নাজুক। এডিস মশার প্রজনন ক্ষেতে  নিয়ে কর্তৃপক্ষে উদাসীনতায় খুদ্ধ মানুষ। আর জেনারেল হাসপাতালের অব্যবস্থাপনায় অসন্তোষ রোগী ও স্বজনরা।

মুন্সীগঞ্জের ২৫০ শয্যার  জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. আবু হেনা মো. জামাল আমাদের কে বলেন, অসময়ের বৃষ্টিতে পানি জমে থাকাসহ  অসচেতনতার কারণে অস্বাভাবিক ভাবে ডেঙ্গু রোগী বাড়ছে।  তিনি আরও বলেন, মঙ্গলবার হাসপাতালটিতে ভর্তি হয়েছে ১৩ ডেঙ্গু রোগী। বর্তমানে হাসাপাতালে ৩৮ জন রোগী ভর্তি রয়েছে। তবে গত সোমবার এই হাসপাতালে রেকর্ড সংখ্যক ৪৮ জন ডেঙ্গু রোগী ভর্তি ছিল।  তিনি আরো বলেন, মানুষ এখনও এ ব্যাপারে সচেতন নয়। আমাদের আরও সাবধান হতে হবে। নিজের বাড়ি ও আশপাশ পরিস্কার পরিচ্ছছন্ন রাখতে হবে। এছাড়া এ সংশ্লিষ্ট অন্যান্য প্রতিষ্ঠানগুলোকেও তাদের ভুমিকা পালন করতে হবে।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
© All rights reserved © 2024 Toroni24 Tv.
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com