সোমবার, ২১ এপ্রিল ২০২৫, ১১:৪৪ অপরাহ্ন

মুন্সীগঞ্জে ড্রেন নির্মাণে অনিয়ম ও তিন দফা নকশা পরিবর্তন 

মুন্সীগঞ্জ প্রতিনিধিঃ
  • Update Time : শনিবার, ২৬ অক্টোবর, ২০২৪
  • ৬৩ Time View

মুন্সীগঞ্জ শহরের উপকন্ঠ মুক্তারপুর পুরাতন ফেরিঘাট ও মুক্তারপুর সেতু সড়কে জনপথের আওতাধীন ড্রেন নির্মাণ প্রকল্পে নানা অনিয়মের অভিযোগ করেছে ব্যবসায়ীসহ এলাকাবাসীরা। ড্রেন নির্মাণ কাজ শুরুর পর পঞ্চসার ইউনিয়ন পরিষদের অপর প্রান্তে জেলা পরিষদ থেকে লীজ নেওয়া সরকারি জায়গায় ইউপি চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগ নেতা গোলাম মোস্তফা গংয়ের মার্কেট নির্মাণের সুবিধার্থে তিন দফা নকশা পরিবর্তন করেছে সড়ক ও জনপথ বিভাগের প্রকৌশলীর নির্দেশে নিযুক্ত ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান। শুরু নকশা পরিবর্তনই নয়, ড্রেন নির্মাণে শর্তাবলী উপেক্ষা করে নিম্নমানের নির্মাণ সামগ্রী ব্যবহার করা হয়েছে বলেও অভিযোগ উঠেছে। 

জানা গেছে, মুন্সীগঞ্জ সদরের মুক্তারপুর পুরাতন ফেরিঘাট থেকে মুক্তারপুর সেতু এলাকা পর্যন্ত আধা কিলোমিটার সড়কের পাশ দিয়ে ড্রেন নির্মানে ১ কোটি ৯০ লাখ টাকা বরাদ্দ দেয় সড়ক ও জনপদ বিভাগ ৷ ক্লাসিক বিল্ডার্স নামের একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান এই ড্রেন নির্মানের কাজ করছে।

অভিযোগ পাওয়া গেছে, কাজ শুরুর পর ড্রেন নির্মাণ প্রকল্পের কার্যাদেশের শর্তাবলী উপেক্ষা করেছে ঠিকাদার। প্রস্থে ৬ ইঞ্চি দুরত্বে ড্রেন নির্মাণের কথা থাকলেও কোথাও ৪ ইঞ্চি, কোথাও ৫ ইঞ্চি প্রস্থ দেওয়া হয়েছে। এছাড়া ঢালাই কাজে নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহারসহ রড় স্থাপনেও অনিয়ম করেছে বলে স্থানীয়রা অভিযোগ তুলেছেন। প্রকল্পে  বরাদ্দ করা বিপুল পরিমান টাকা আত্মসাৎ করতেই অনিয়মের আশ্রয় নিয়েছে ঠিকাদার। 

স্থানীয় ব্যবসায়ীরা অভিযোগ করে বলেন, শুধু অনিয়মই নয়, জেলা পরিষদ থেকে লীজ নেওয়া সরকারি জমিতে ইউপি চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগ নেতা গোলাম মোস্তফা গংয়ের মার্কেট নির্মাণের স্বার্থে পঞ্চসার ইউনিয়ন পরিষদের অপর প্রান্তে ড্রেন নির্মাণ করতে তিন দফা নকশা পরিবর্তন করেছে সড়ক ও জনপথ কর্তৃপক্ষ। আর এই নকশা পরিবর্তন করতে গিয়ে একাধিক মার্কেটের সম্মুখ ভাগে ভেকু মেশিন দিয়ে মাটি কেটে খানাখন্দ তৈরী করা হয়েছে। এর ফলে ৫টি মার্কেটের প্রায় অর্ধশতাধিক ব্যবসায়ী তাদের ব্যবসা পরিচালনা নিয়ে বিপাকে পড়েছে।

এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে সড়ক ও জনপথ মুন্সীগঞ্জ আঞ্চলিক কার্যালয়ের উপ-সহকারী প্রকৌশলী মো. মান্নান বলেন, আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে ইউপি চেয়ারম্যান গোলাম মোস্তফার একচ্ছত্র আধিপত্য ছিল এখানে। তার কথার বাইরে কিছু করা ছিল অসম্ভব, তা সবাই অবগত। আর এ কারনে সড়ক ও জনপদের জায়গা কৌশলে জেলা পরিষদ থেকে তার সহযোগীদের নামে লীজ নিয়ে স্থাপনা নির্মাণ শুরু করলে বাঁধা দিতে পারেনি সওজ কর্তৃপক্ষ। তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ সরকারের প্রভাবের কারনেই ড্রেনের নকশা পরিবর্তন করতে বাধ্য হয় ঠিকাদার।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
© All rights reserved © 2024 Toroni24 Tv.
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com