শুক্রবার, ১০ জানুয়ারী ২০২৫, ০৭:০৩ অপরাহ্ন

ডাক্তারের অবহেলার কারণে নবজাতকের মৃত্যু: অত:পর তদন্ত কমিটি গঠন।

লিটন মাহমুদ, মুন্সীগঞ্জ প্রতিনিধিঃ
  • Update Time : বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৪
  • ৬৫ Time View

ঘটনাটি ঘটে মুন্সীগঞ্জ কেয়ার হাসপাতালে। অবৈধভাবে মোটা অংকের টাকা ও ক্ষমতার প্রভাবে ভেঙের ছাতার মতো গড়ে ওঠা মালিকানা ক্লিনিকগুলোতে প্রতিনিয়তই ঘটছে নবজাতকের মৃত্যুর ঘটনা।

এরই ধারাবাহিকতায় মুন্সীগঞ্জ শহরের হাসপাতাল রোডস্থ মুন্সীগঞ্জ কেয়ার হাসপাতালে মঙ্গলবার এক নবজাতকের মৃত্যুর ঘটনা ঘটে ডাক্তারের ভুল চিকিৎসার জন্য। আর এঘটনাকে কেন্দ্র করে হাসপাতাল ঘেরাও করে ছাত্রজনতাসহ সন্তারহারা পরিবার। কর্তব্যরত ডাক্তার আনোয়ার শাহাদাতকে অবরোদ্ধ করে জনসাধারন ও ছাত্রজনতা।

আর এই ঘটনায় মালিকপক্ষ আতœগোপন থাকেন। পরে এঘটনার সংবাদ পেয়ে ছুটে আছেন গনমাধ্যম,পুলিশ,সেনাবাহিনী,পরে সেনাবাহিনী উপস্থিত জনতাকে বুঝিয়ে পরিবেশ শান্ত করেন। অনেক চেষ্টার পর ১৭ সেপ্টেম্বর মঙ্গলবার রাত ১২টার সময় হাসপাতাল কতৃপক্ষের সন্ধ্যান মিলে।

মুন্সীগঞ্জে দ্বায়িত্বরত সেনা কর্মকতার একন্ত প্রচেষ্টায় রাত ১টার ঐ হাসপাতাল চত্তরে জেলা প্রশাসনের প্রতিনিধি দুইজন ,সিভিল সার্জনের প্রতিনিধি,সদর থানা পুলিশ,গনমাধ্যম কর্মী, ছাত্রজনতাসহ সকলের উপস্থিতিতে  ভিকটিম নবজাতকের বাবা সাগরের মতামতের ভিত্তিতে ন্যায় বিচারের লক্ষ্যে তদন্ত কমিটি গঠনের সিন্ধান্ত নেওয়া এবং তদন্তক্রমে ব্যবস্থা গ্রহনের আশ্বাস দেন উদ্দর্তন।

অন্যদিকে এই হাসপাতালের মালিকানাদের মধ্যে সবাই দেশের বিভিন্ন সরকারী হাসপাতালের কর্মরত ডাক্তার বলে জানায় যায়। এবিষয়ে টেলিফোনে কথা হয় মুন্সীগঞ্জ কেয়ার হাসপাতালের শোয়ার হোল্ডার অবঃ প্রাপ্ত স্কুল শিক্ষিকার মেয়ে ডাঃ দৌলা আক্তারের সাথে। তিনি বলেন,ঐ হাসাপতালে আমার মা তার চাকুরির পেনশনের টাকা থেকে ৮-৯ লক্ষ্য টাকা দিয়ে একটি শেয়ার হোল্ডার কিনেছিলেন মানুষের সেবার জন্য । আর তারই সুবাধে আমি প্রতি শুক্রবারে সেখানে যেতাম।  কিন্তু সেখানে এই হাসপাতালের চেয়ারম্যান আক্তার হোসেন বাপ্পির সাথে একজন শেয়ার হোল্ডারের মেয়ে হিসেবে তার সাথে আমার দেখা তো দুরের কথা তার সাথে ফোনেও কথা বলতে পারিনি। তিনি শুধুমাত্র তার পছন্দ করা শেয়ার হোল্ডার ডাক্তার জোবায়ের,ডাঃ প্রণয় ও তার ভাইয়ের সাথে যোগাযোগ রেখেছেন। হাসপাতালের আয়ব্যয় হিসাবও দেয়নি। শুধুমাত্র মাস শেষে শেয়ার হোল্ডারের অংশ হিসেবে ৫ হাজার করে টাকাই দিয়ে যাচ্ছেন অথচ আমরা হাসপাতালের আয়ের দিক থেকে প্রতিমাসে আরো বেশি টাকা পাওয়ার কথা। অবশেষে আজ ৩ বছর যাবৎ ঐ হাসপাতালে আমি আর যাইনা। আমার মায়ের মেয়ার হোল্ডাটা বিক্রি করার চেষ্ঠায় আছি।  গোপালগঞ্জ সরকারী হাসপাতালে কর্মরত আরেকজন শেয়ার হোল্ডার ডাক্তার সাদিয়া আক্তার জানায়,আমি সরকারী চাকুরি করার কারণে প্রতি শুক্রবারে মুন্সীগঞ্জ মর্ডণ হাসপাতালে আসি। আর মুন্সীগঞ্জ কেয়ার হাসপাতালের পরিচালনা পরিষদ প্রতি বৃহস্প্রতিবার মিটিং করে আমাকে বাদ দিয়ে। আমি হাসপাতালের কোন হিসাব চাইলে আমাকে দেওয়া হয়না। আমি শুধুমাত্র নামে একজন শেয়ার হোল্ডার। প্রতিমাসে আমার প্রাপ্যটাকা ও আমাকে দিচ্ছেনা তারা,তাই তাদের সাথে আমার কোন যোগাযোগ নেই।

তারিখ ১৮-০৯-২০২৪

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
© All rights reserved © 2024 Toroni24 Tv.
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com