জামালপুরের সরিষাবাড়ীতে শ্বশুরের মুক্তিযোদ্ধা পরিচয় ব্যবহার করে চাকরি নেওয়ার আলোচিত ঘটনায় অভিযুক্ত শিক্ষিকা মাফিয়া খাতুন মিতুর বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করেছে স্থানীয় প্রশাসন।
বুধবার (১১ সেপ্টেম্বর ) সকালে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা চাহিদা ইয়াসমিন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এসময় তিনি বলেন, “অভিযোগটি পাওয়ার পর বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করা হচ্ছে। অভিযুক্ত শিক্ষিকার সমস্ত কাগজপত্র সংগ্রহ করা হয়েছে এবং কিছু কাগজ পত্র না থাকায় তাকে বিকাল পর্যন্ত সময় দেওয়া হয়েছে। কাগজপত্রের ফাইল তৈরি করে জেলা প্রাথমিক অফিসে পাঠানো হবে।
জানা যায়, মৃত বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর রহমানের নাম ব্যবহার করে মাফিয়া খাতুন মিতু চাকরি লাভ করেছেন। আব্দুর রহমান ভাটারা ইউনিয়নের জুলারখুপি গ্রামের বাসিন্দা ছিলেন এবং তার পরিবারে দুই ছেলে ও এক মেয়ে রয়েছে। মাফিয়া খাতুন মিতু মুক্তিযোদ্ধার ছোট ছেলে খায়রুল ইসলাম খোকনের স্ত্রী।
অনুসন্ধানে জানা যায়, মাফিয়া খাতুন মিতু নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী থাকা অবস্থায় নিজের পিতার নাম (হাসান আলী) পরিবর্তন করে মুক্তিযোদ্ধা শ্বশুর আব্দুর রহমানের নাম ব্যবহার করেন। পরবর্তীতে জাতীয় পরিচয়পত্রেও এই নাম ব্যবহৃত হয়, যা তাকে মুক্তিযোদ্ধা কোটায় চাকরি পেতে সহায়তা করে। ২০১২ সালে এসএসসি পাস করার পর তিনি মুক্তিযোদ্ধা সন্তানের পরিচয়ে ২০১৬ সালে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ পান।
এ ঘটনায় স্থানীয়দের মাঝে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে এবং তারা দ্রুততম সময়ের মধ্যে সঠিক পদক্ষেপ নেওয়ার দাবি করছেন। তদন্ত শেষে প্রমাণিত হলে, মাফিয়া খাতুনের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।