শনিবার, ০৫ অক্টোবর ২০২৪, ০৮:২০ পূর্বাহ্ন

খবর প্রকাশের পর বদলি দুই কর্মকর্তা,বদলি-ই কি দুর্নীতির পাপ মোচনের মাধ্যম। 

মোঃ কামরুল হাসান কাজল ভূরুঙ্গামারী (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধিঃ
  • Update Time : মঙ্গলবার, ৩ সেপ্টেম্বর, ২০২৪
  • ৩৭ Time View

শতকোটি টাকা রাজস্ব ফাঁকির স্বর্গরাজ্য সোনাহাট স্থলবন্দর -হোতারা বহাল তবিয়তে। শিরোনামে জাতীয় “দৈনিক দেশের কন্ঠ” পত্রিকা সহ বেশ কিছু গণমাধ্যমে গত ২৬ আগষ্ট উত্তরের জেলা কুড়িগ্রামের উপজেলার অন্তর্গত স্থল বন্দরের রাজস্ব ফাঁকি, ঘুষ ও দুর্নীতির বিষয়ে একটি অনুসন্ধানীমূলক প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। 

আজ সোমবার (২ সেপ্টেম্বর) স্থলবন্দর সংশ্লিষ্ট রংপুর কার্যালয় থেকে প্রাপ্ত এক আদেশে দেখা যায়, উক্ত সোনাহাট স্থল বন্দরের অভিযুক্ত রাজস্ব কর্মকর্তা মোঃ আব্দুল লতিফ কে লালমনিরহাট সার্কেল, লালমনিহাটে বদলীর আদেশ দিয়ে রবিবার (১ সেপ্টেম্বর) গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের কাস্টমস, এক্সাইজ ও ভ্যাট কমিশনারেট (জনপ্রশাসন শাখা), রংপুর কার্যালয় থেকে একটি অফিস আদেশ প্রকাশ করা হয়। 

একই দিনে অপর একটি অফিস আদেশে ওই বন্দরের অভিযুক্ত সহকারি রাজস্ব কর্মকর্তা মেহেদী হাসানকে বিভাগীয় দপ্তর কুড়িগ্রাম থেকে বিভাগীয় দপ্তর দিনাজপুরে বদলির আদেশ দেয়া হয়েছে। 

অন্যদিকে উক্ত পদমর্যাদার ক্রম অনুযায়ী ঐ একই আদেশে লালমনিহাট সার্কেল, লালমনিহাটের রাজস্ব কর্মকর্তা নুরুল আলম ও মোহাম্মদ গোলাম হোসেন কে বিভাগীয় দপ্তর, নীলফামারী থেকে বিভাগীয় দপ্তর, কুড়িগ্রাম ( সোনাহাট স্থলবন্দর) এ বদলির আদেশ দেয়া হয়েছে।

এই বদলির বিষয়টি সাময়িকভাবে জনমনে স্বস্তি দিলেও প্রশ্ন উঠেছে যে, এসব কর্মকর্তা যারা তাদের সেই একই অফিসে অন্য সহযোগীদের আশ্রয় প্রশ্রয়ে বিভিন্ন অপরাধের কারণে অভিযুক্ত তারা এক স্থান থেকে অন্যস্থানে গেলেই কিংবা বদলি করে দিলেই কি তাদের অপরাধ, দূর্নীতির মানসিকতা থেমে থাকবে, বদলি কি তাদের অভিযুক্ত অপরাধের শাস্তি বলে গণ্য হবে? কিংবা যাদেরকে তাদের পরিবর্তে উক্ত সোনাহাট স্থল বন্দরে পদায়ন করা হচ্ছে তারা কি সেই অনিয়ম দুর্নীতির বিষয়গুলো থেকে মুক্ত থাকবে যারা অন্য কোন বন্দরে বা দপ্তরে সংশ্লিষ্ট ছিল? 

এমন প্রশ্ন ওঠা অবান্তর নয় যে, স্বাধীন বিভাগীয় তদন্ত কমিশন গঠনের মাধ্যমে তাদের কৃত এসব দুর্নীতির অপরাধ যদি প্রমাণিত হয় তাহলে কি তাদের শাস্তির বিধান করা হবে নাকি বদলির মাধ্যমেই তার সমাপ্তি টানা হবে? কিংবা তাদের সাথে সংশ্লিষ্ট যাদের আশ্রয় প্রশ্রয়ে এবং স্থানীয় যারা তাদেরকে প্রশ্রয় দিয়ে নিজেরা অবৈধ ভাবে কোটি কোটি টাকা অর্থবিত্তের মালিক হয়েছেন, এমন আশ্রয় প্রশ্রয় দাতাদের ব্যাপারে প্রশাসন কি পদক্ষেপ নেবে? এমন প্রশ্ন বৈষম্য বিরোধী ছাত্র-জনতার কাছে থেকেই যায়, যারা তাদের বুকের তাজা রক্ত দিয়ে অর্জিত দ্বিতীয় মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বাস্তবায়নে এখনো দিনরাত সংগ্রাম করে চলেছেন।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে জেলা সহকারী কমিশনার মোঃ নাজমুল হাসান বলেন, অভিযুক্ত রাজস্ব কর্মকর্তা ও সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা যথাক্রমে আব্দুল লতিফ ও মেহেদী হাসানকে গতকালই বদলি করা হয়েছে এবং হেডকোয়ার্টার থেকে এ সম্পর্কে তদন্ত করতে একটি কমিটিও গঠন করা হয়েছে। এই তদন্ত কমিটি তাদের তদন্ত রিপোর্ট সাত দিনের মধ্যে পেশ করবে, সে অনুযায়ী তারা দোষী সাব্যস্ত হলে তাদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
© All rights reserved © 2024 Toroni24 Tv.
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com