ঠাকুরগাঁও জেলার হরিপুরে সেটেলমেন্ট অফিসে ভূয়া ব্যাঞ্চ কালার্ক কর্মচারী আটক। ভুক্তভোগীরা ইতিমধ্যে গত ২২-৮-২০২৪ ইং তারিখে দূর্নীতির বিরুদ্ধে মানববন্ধন এবং বিভিন্ন দপ্তরের ঘুষ দূর্নীতির সুনির্দিষ্ট অভিযোগ সহ স্মারকলিপি প্রদান করেন। সেই ধারাবাহিকতায় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে হরিপুরের দূর্নীতি দমন প্রতিরোধ কমিটির সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ সেলিম তালুকদার ও সাধারণ সম্পাদক মোঃ দেলোয়ার হোসেন মানিক ও নির্বাহী সদস্য মোঃ আনোয়ার হোসেন, ও বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে সরাসরি যুক্ত ছাত্র নেতা মোঃ সুমন দুলাল পারভেজ আসিফ সহ হরিপুর সেটেলমেন্ট অফিসে যায়। সহকারী সেটেলমেন্ট অফিসে এজলাসে বসে ই.বি.টি. রুলস ১৯৫৫ এর ৩০ বিধির মতে আপত্তি নিষ্পত্তির শুনানির নোটিশ কাজ করছিলেন। আপত্তি নিষ্পত্তি আদালতে দাপ্তরিক গোপনীয়তা কাজ করছিলেন।
এসময় বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ সেলিম তালুকদার দূর্নীতি দমন প্রতিরোধ কমিটির সভাপতি এজলাসে চেয়ার বসা ব্যক্তি মোঃ শরিফুল ইসলামকে প্রথমে জিজ্ঞেস করেন, সহকারী সেটেলমেন্ট অফিসার কে এবং তিনি উত্তরে বলেন সহকারী সেটেলমেন্ট অফিসার নেই। দূর্নীতির দমন কমিটির সভাপতি মোঃ শরিফুল ইসলাম কে জিজ্ঞেস করেন তিনি কে? তিনি উত্তর দিলেন ডাটা এন্টি কর্মচারী।দূর্নীতি দমন প্রতিরোধ কমিটির সভাপতি আবারও জিজ্ঞেস করলেন আপনি তাহলে এজলাসে বসে কেন? তার কথাবার্তা ও পরিচয় পত্র সব অমিল এবং কোন নিয়োগ প্রাপ্ত না হওয়ায় এজলাসে বসে ই.বি.টি. রুলস ১৯৫৫ এর ৩০ বিধির কাজ করছে যাহা আইনের পরিপন্থী। এজন্য তাকে ডেকে নিয়ে হরিপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ আরিফুজ্জামান নিকট হাজির করেন এবং সেখানে তিনি সকল কিছুর দোষ স্বীকার করে তার ভুল হয়েছে অভিমত ব্যক্ত করেন ।
এরকম গর্হিত কাজ সম্পর্কে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ আরিফুজ্জামান সহকারী সেটেলমেন্ট অফিসারকে মুঠোফোনে বলেন, তিনি কেন? কোন সরকারি বিধিমালায় নিয়োগ না হয়েও দাপ্তরিক কাজ করছেন। তিনি কোন সঠিকভাবে জবাব দিতে পারেননি। দূর্নীতি দমন প্রতিরোধ কমিটির সভাপতি দূর্নীতি দমন পরিচালকের পরামর্শ নিয়ে ভূয়া কর্মচারী বিরুদ্ধে থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
ভূয়া কর্মচারী মাধ্যমে সহকারী সেটেলমেন্ট অফিসার নিজে ভূয়া ডাটা এন্টি কর্মচারী নিয়োগ দিয়ে লক্ষ লক্ষ ঘুষ লেনদেন করতো। এলাকার বাসিন্দারা দীর্ঘদিন ধরে অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে ইতিমধ্যে তাদের বিরুদ্ধে মানববন্ধনও করে। এই সহকারী সেটেলমেন্ট অফিসার মোঃ আসাদুজ্জামান ও তার সহযোগী মোঃ শরিফুল ইসলামের বিরুদ্ধে হাজারো দূর্নীতির অভিযোগ রয়েছে। এলাকার ভুক্তভোগীদের দাবি এই ভূমি খেকো আসাদুজ্জামান ও তার সহযোগীর শরিফুল ইসলাম এর কঠোর শাস্তি দাবি জানিয়েছেন।