দূর্বৃত্তদের আগুনে পুড়ে ছাই হয়ে গেছে মুন্সীগঞ্জ পৌরসভার নথিপত্র ও আসবাবপত্রসহ পৌর সেবায় নিয়োজিত সকল যানবাহন। এতে সেবা বঞ্চিত হয়ে পরেছে পৌরসভার হাজার হাজার বাসিন্দা। সোমবার বিকাল ৫ টার দিকে জেলা শহরের কাচারি চত্বরে অবস্থিত পৌর ভবনটিতে আগুন দেয় দুর্বৃত্তদের। এতে পুড়ে যায় পৌরসভার প্রয়োজনীয় সকল নথিপত্র। এছাড়াও ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পরেছে পৌর ভবনটি। দীর্ঘক্ষণ আগুনে পুড়তে থাকায় প্রবল ঝুঁকিতে রয়েছে ভবনটি। কেউ কেউ ভবন ধ্বসে পড়ার আশঙ্কা করছেন এখন জ্বলছে হালকা আগুন।
সরেজমিন মঙ্গলবার দুপুর ১২ টার দিকে দেখা যায় মুন্সীগঞ্জ জেলা শহরের প্রাণকেন্দ্রে অবস্থিত পৌর ভবনটির সামনে কর্মকর্তা ও কর্মচারীবৃন্দরা চেয়ারে বসে আছেন। তাদের ভবনে বসা বা কাজ করা মতো কোন কিছুই নেই। সবই আগুনে পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। ভিতরে দেখা গেছে লোহা কাঠের আসবাবপত্র ছাই হয়েছে। দ্বিতীয় তলায় হালকা ধোঁয়া উঠছে।
তৃতীয় ও নিচতলায় একই অবস্থা কিছুই আগুনের লেলিহানে শেষ হয়েছে।
সেবা নিতে আসা একাধিক পৌর বাসিন্দারা জানান, দলীয় বিরোধকে কেন্দ্র করে আমাদের অর্থে গড়া পৌর ভবনটি পুড়িয়ে হাজার হাজার মানুষকে চরম ভোগান্তিতে ফেলেছে। তারা আরো বলেন, এখানে যে কেউ মেয়র হতে পারে তাই বলে দেশের সম্পদ পুড়িয়ে দেয়া কখনোই সর্মথন যোগ্য নয়।
এছাড়াও আগুন দেয়া হয়েছে সদর থানা ও সদর পুলিশ ফাঁড়ি ও আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের বাসায়। এদিকে ভাংচুর করা হয়েছে জেলা পুলিশ সুপার কার্যালয়। এতে করে সেবা বঞ্চিত হয়ে পরেছে সাধারণ মানুষ।
মুন্সীগঞ্জ পৌর নির্বাহী মো. সাইদুল ইসলাম বলেন, আমাদের পৌর নাগরিকদের সেবা দেয়ার মতো কোন কিছুই নেই। পৌরসভার নাগরিকদের জন্মনিবন্ধণ, চেয়ারম্যান সাটিফিকেট, চেক, গাড়ি, এসি, আসবাবপত্রসহ পুরু ভবনটি পুড়ে ছাই হয়েছে। তিনতলা বিল্ডিংটি ডেমেজ হয়েছে। প্রায় ২৫ কোটি টাকার ক্ষতি সাধন হয়েছে। কোন পৌর সবা দেয়ার ব্যবস্হা নেই।