আজ বুধবার (৩১ জুলাই) সকাল ১১ ঘটিকার সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মিনার চত্বরে এ কর্মসূচী ও র্যালি করেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা।
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-ছাত্রীদেরকে নির্বিচারে হ*ত্যা, তাদের উপর স*ন্ত্রা*সী আ*ক্রমণ ও গণগ্রেফতারের প্রতিবাদে গতকাল ৩০ জুলাই মঙ্গলবার এ মানববন্ধন কর্মসূচি ঘোষণা করেছে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় নিপীড়ন বিরোধী শিক্ষক ঐক্য।
এছাডা, কোটা সংস্কার আন্দোলনের পরিপ্রেক্ষিতে সারা দেশের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের গ্রেপ্তারকৃত সব শিক্ষার্থীকে অবিলম্বে মুক্তি দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) বিভিন্ন বিভাগের ৫৭ জন শিক্ষক।মঙ্গলবার সকাল ১০টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষকদের পক্ষে এক বিজ্ঞপ্তিতে এই প্রতিবাদ জানান তারা।
প্রাণহানি, নির্বিচারে গ্রেপ্তার, ছাত্র ও সাধারণ মানুষের হয়রানির ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘কোটা সংস্কারের যৌক্তিক আন্দোলনকে কেন্দ্র করে বেশ কিছুদিন ধরে দেশে চরম অরাজকতা চলছে। এ সময় শিক্ষার্থীদের ওপর বর্বরোচিত হামলা অব্যাহত রয়েছে। এখন পর্যন্ত আন্দোলনরত শিক্ষার্থী, শিশু থেকে বৃদ্ধ পর্যন্ত ২০০ জনের বেশি নাগরিককে হত্যা করা হয়েছে বলে বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে বলা হচ্ছে।
পাশাপাশি বর্তমানে আন্দোলন দমানোর লক্ষ্যে দমনপীড়নমূলক হয়রানি, মামলা ও গণগ্রেপ্তার জারি রয়েছে। দমনপীড়নের এই ধারাবাহিকতায় চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তত তিনজন ছাত্র– ফারসি ভাষা ও সাহিত্য বিভাগের আল মাশনূন, নাট্যকলা বিভাগের সায়হাম মাহমুদ, শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের রমজান শেখকে ধরে নিয়ে যাওয়া হয়েছে বলে আমরা বিভিন্ন সূত্রে জানতে পেরেছি। এ ছাড়া আরও কিছু শিক্ষার্থীর খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না বলেও বিভিন্ন সূত্র থেকে দাবি করা হচ্ছে। এসব ঘটনা অত্যন্ত অযৌক্তিক ও উদ্বেগজনক।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, ‘আমরা বিশ্বাস করি, চলমান আন্দোলনে আমাদের এই ছাত্ররা যদি অংশগ্রহণ করেও থাকেন, তা তাদের গণতান্ত্রিক অধিকারের অংশ হিসেবেই করেছেন এবং তারা কোনোভাবেই সহিংসতার সাথে জড়িত নন। এ পরিপ্রেক্ষিতে শিক্ষক হিসেবে আমরা গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করছি, সব রকম পুলিশি হয়রানির নিন্দা জানাচ্ছি এবং তাদের নিঃশর্ত মুক্তি দাবি করছি।
পাশাপাশি আমরা চলমান আন্দোলনকে কেন্দ্র করে আজ পর্যন্ত সংঘটিত সব হামলা-মামলা, ধ্বংসাত্মক কর্মকাণ্ড, গণগ্রেপ্তার ও হত্যাকাণ্ডের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যসহ যেই হোক না কেন সব হত্যাকারীকে দ্রুত বিচারের মুখোমুখি করার দাবি জানাই। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের আটক/ গ্রেপ্তারকৃত ছাত্রসহ দেশের সব নিরপরাধ শিক্ষার্থীর অবিলম্বে মুক্তির দাবি জানাচ্ছি।’