জামালপুর পৌরশহরের তমালতলা অবস্থিত পুনম নাসিং হোমে ভূলচিকিৎসায় প্রসূতি মায়ের মৃত্যুর অভিযোগ তুলেছে পরিবার।
পৌর এলাকার পিংগল হাটি গ্রামের সজীবের স্ত্রী হাজেরা খাতুন (২৫ ) কে মঙ্গলবার সন্ধ্যা ০৬ টা সময় ভর্তি করা হয়।
হাজেরা খাতুনের স্বামী সজিব বলেন, ভর্তি হওয়ার পর রাত ৮ টা সময় অপারেশন থিয়েটারে হাজেরা খাতুন কে নিয়ে যাওয়া হয় সিজার করার জন্য সিজার করেন গাইনি ডাক্তার গোপাল চন্দ্র দাস। কিন্তু অপারেশনের পর হাজেরা খাতুনের শারিরীক অবস্থা খারাপ দেখে ডাক্তার ও অপারেশনের থিয়েটারে থাকা লোকেজন শিশু সহ হাজেরা খাতুনকে তার কেবিনে পাঠিয়ে দেন।
হাজেরা খাতুন কে কেবিনে পাঠানোর পর থেকে তার অবস্থা আরো খারাপের দিকে যায় এবং অপারেশনের পর থেকে কোন ডাক্তার ও নার্স তার কোনো খোজ খবর নিতে আসেনি এবং রোগীর স্বজনরা হাসপাতালে কর্তৃপক্ষের কাছে গেলে তাদের কোন সাড়া পাননি।গভীর রাতে হাজেরা খাতুনের শারীরিক অবস্থা আরো খারাপের দিকে গেলে রাত ২টা ৩০ মিনিটে তিনি মারা যান।
স্বজনরা জানান, হাজেরা খাতুন মারা যাওয়ার পর তার লাশ হাসপাতাল থেকে বের করে নিয়ে যাওয়া জন্য পাপন ও হাস্পাতালের সহকারী ম্যানেজার মান্নান নানা ধরনের হুমকি ধামকি দেখান।
নিহতের স্বামী সজিব বলেন, আমার স্ত্রী হাজেরা খাতুনকে আলট্রাসনোগ্রাম করার জন্য আমি পুনম নাসিং হোমে নিয়ে আসি আলট্রাসনোগ্রাম করার পর হাসপাতালের সহকারী ম্যানেজার মান্নান বলেন বাচ্চার অবস্থা বেশি ভালো না তারাতারি সিজার করতে হবে না হলে বাচ্চাকে বাঁচানো যাবে না। মান্নান আমার স্ত্রী হাজেরা খাতুনের কোন পরীক্ষা-নিরীক্ষা না করেই তিনি ডাক্তার গোপাল চন্দ্র দাস কে দিয়ে অপারেশন করান।
এ বিষয়ে নিহতের পরিবার জানান,হাসপাতাল কতৃপক্ষের গাফিলতির কারণে ভুল চিকিৎসায় হাজেরা খাতুন মারা যায় আমরা এর সুষ্ঠু বিচার চাই।
এ বিষয়ে মালিকপক্ষ পুনমের সাথে কথা বলতে গেলে, তিনি সাংবাদিকদের বলেন আপনাদের সমস্যা কি আপনার আমাদের হাসপাতালে কিসের জন্য আসছে আর হাস্পাতালে রোগী মারা গেলে কোনো সমস্যা নেই।
এ বিষয়ে ম্যানেজার হাবিবুর রহমানের সাথে মুঠোফোন যোগাযোগ করলে তিনি বলেনএ বিষয়ে আমি কিছু জানি না।