রবিবার, ১৪ ডিসেম্বর ২০২৫, ১২:১৪ অপরাহ্ন

ইবিতে পাঁচ অনুষদের শিক্ষার্থীদের নবীন বরণ অনুষ্ঠিত

ইবি প্রতিনিধি
  • Update Time : রবিবার, ২১ সেপ্টেম্বর, ২০২৫
  • ৭৮ Time View

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থীদের কেন্দ্রীয় নবীন বরণ অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার (২০ সেপ্টেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের বীরশ্রেষ্ঠ হামিদুর রহমান মিলনায়তনে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। এসময় পাচটি অনুষদের শিক্ষার্থীদের বরণ করা হয়। এছাড়া আগামীকাল অন্য তিনটি অনুষদের শিক্ষার্থীদের বরণ করা হবে।

ধর্মীয়গ্রন্থ পাঠের মাধ্যমে অনুষ্ঠানটি শুরু হয়। পরে জাতীয় সংগীত পরিবেশনা, জুলাই শহিদদের স্মরণে নিরবতা পালন করা হয়। এসময় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে অতিথি ও নবীনদের ফুল দিয়ে বরণ করে নেওয়া হয়। পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাথমিক তথ্য সম্বলিত ডকুমেন্টারি প্রদর্শন করা হয়। অনুষ্ঠানে সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদ, আইন অনুষদ, বিজ্ঞান অনুষদ, প্রকৌশল ও প্রযুক্তি অনুষদ ও জীববিজ্ঞান অনুষদের শিক্ষার্থীদের বরণ করা হয়।

অনুষ্ঠানে উপাচার্য অধ্যাপক ড. নকীব মোহাম্মদ নসরুল্লাহর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে ছিলেন ইউজিসির চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. এস এম এ ফায়েজ, সম্মানীয় অতিথি হিসেবে ছিলেন ইউজিসির সদস্য অধ্যাপক তানজীম উদ্দিন খান, বিশেষ অতিথি হিসেবে ছিলেন উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. এম এয়াকুব আলী ও  কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড.  জাহাঙ্গীর আলম। এছাড়াও রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ড. মনজুরুল হকসহ বিভিন্ন অনুষদের ডিন ও বিভাগের শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। 

নবীন শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে উপাচার্য অধ্যাপক ড. নকীব মোহাম্মদ নসরুল্লাহ বলেন, কঠোর পরিশ্রমের কোনো বিকল্প নেই। যারা কঠোর পরিশ্রম করতে জানে না, তারা সফলতাকে ছুঁতে পারে না। তোমার ঘর হবে শ্রেণিকক্ষ, তোমার ভালোবাসার মানুষ হবে শিক্ষক, তোমার সবচেয়ে বড় সম্মানিত মানুষ হবে তোমার শিক্ষক এবং তোমার সবচেয়ে নিরাপদ ও জ্ঞানের চর্চার জায়গা হবে তোমার লাইব্রেরি। তোমার সময় কাটবে এই তিনটি অঙ্গনে। এর বাইরে সময় কাটালে তুমি ব্যর্থ হবে। আমি যতদিন ভাইস চ্যান্সেলর হিসেবে আছি, আমার সকল কাজ, আমার সকল পরিশ্রম তোমাদের উদ্দেশ্যে নিবেদিত হবে। এর মাধ্যমে আমরা উন্নত বাংলাদেশ গড়বো

ইউজিসি চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. এস এম এ ফায়েজ বলেন, সকলকে মিলেই একটি বিশ্ববিদ্যালয়। সবাই মিলে এটিকে গড়ে তুলতে হবে। এখানে কারোর ভুমিকা কারোর থেকে নগণ্য বা বড় নয়। এই বিশ্ববিদ্যালয় থেকেই একটি দেশের ভবিষ্যৎ নির্ধারিত হয়। কারন এখান থেকেই দেশ সেরা মেধাবীরা বের হয় দেশ গঠনের শিক্ষা নিয়ে। বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো জায়গায় শিক্ষার্থী ও শিক্ষক উভয়েই স্কলার। একজন শিক্ষক হিসেবে অন্যজন শিক্ষার্থী হিসেবে। সমস্যার সমাধানের পথও বাতলে দিতে হবে। তাদেরকে সপলতার পথ দেখাতে হবে, যাতে তারা দায়িত্বশীল নাগরিক হয়ে সমাজ ও জাতিকে এগিয়ে নিতে পারে। অনেক বিষয় আপাতদৃষ্টিতে ছোট মনে হলেও, এর ভেতরেই একজন শিক্ষার্থীর ভবিষ্যৎ নিহিত থাকতে পারে। একজন শিক্ষার্থী হয়তো সেই ক্ষুদ্র বিষয় থেকেই তার উন্নয়নের চিন্তা শুরু করছে। 

তিনি আরও বলেন, জুলাইয়ের মতো একটি আন্দোলন সফল হওয়ার পেছনে শিক্ষার্থীদের ভূমিকা ছিল অসাধারণ ছিল উল্লেখ করে তিনি বলেন “তোমরা পেরেছ বলেই আজ আমাদের প্রত্যাশা তোমাদের কাছে অনেক বেশি। তোমাদের দিকেই তাকিয়ে আছে এই দেশ, এই জন্মভূমি, এই জাতি। তোমরা যা দেখিয়েছিলে, তা শুধু এই দেশ নয় পুরো বিশ্ব অবাক বিস্ময়ে দেখেছিল।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
© All rights reserved © 2025 Toroni24 Tv.
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com