দেখা যাচ্ছে সম্প্রতি একেরপর এক ভুল করেই চলেছেন জো বাইডেন। এক সাক্ষাৎকার থেকে ট্রাম্পের বিরুদ্ধে বিতর্ক বিভিন্ন অনুষ্ঠানে তার কথা ছড়িয়ে গেছে। এক রিপোর্টে জানানো হয়েছিলো গত জানুয়ারী মাসে এক পার্কিনসন বিশেষজ্ঞ তাকে দেখতে এসেছিলো। তাতেই বাইডেনের শারীরিক অবস্থা নিয়ে বেশ আলোচনা, সমালোচনার সম্মুখীন হতে হয়েছিলো।
গত ১৭ জানুয়ারী হোয়াইট হাউসে পার্কিনসন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক বাইডেনের ব্যক্তিগত চিকিৎসক ড. কেভিন ও কনরের সঙ্গে দেখা করেন। সেই দু চিকিৎসক এর মাঝে কি কথা হয়েছিলো তা জানা যায় নি। তবে সেই প্রতিবেদন থেকেই শুরু হয়েছিলো তবে কি বাইডেন পার্কিনসন রোগে ভুগছেন।
তবে ২০২৪ সালে বেশ জড়ালো সুরে বলেন এবারও আমি ট্রাম্পকে হারাবো।
আর তার সেই মুখ ফসকে বলা কথা টা পুরো নেটজগৎ তোলপাড় করেছিলো।
বাইডেনের পরপর হোঁচট দেখে ইতোমধ্যেই ডেমোক্র্যাটদের প্রার্থী বদলের গুঞ্জন শোনা যাচ্ছে। তবে নিজের অবস্থানে অনড় রয়েছেন বাইডেন। তার দাবি, তিনি অনায়াসে ট্রাম্পকে হারিয়ে দেবেন।
তিনি এক সংবাদ মাধ্যমে দেওয়া প্রতিবেদনে বলেন যে, ”আমেরিকার প্রথম কৃষ্ণাঙ্গ প্রেসিডেন্টের সঙ্গে কাজ করা প্রথম কৃষ্ণাঙ্গ নারী আমিই।”
এর আগে সিএনএন আয়োজিত প্রেসিডেন্ট নির্বাচনী বিতর্কে ‘ফেল’ করেন জো বাইডেন। রিপাবলিকান প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে বিতর্কে বারবার কথা জড়িয়ে যাচ্ছিল বর্তমান প্রেসিডেন্টের। এই প্রেক্ষিতে তার ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিস পরবর্তী নির্বাচনে ডেমোক্র্যাট প্রার্থী হতে পারেন বলে জল্পনা শুরু হয়েছে। প্রতিবেদন অনুযায়ী, বাইডেনকে সরে দাঁড়ানোর জন্যে দাবি জানিয়েছেন ডেমোক্র্যাটদের অনেকেই।
এদিকে সম্প্রতি সংবাদমাধ্যমকে বাইডেনের সহযোগীরা বলেছেন, সকাল ১০টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত ভালোভাবে কাজ করতে পারেন বাইডেন। তারপরই তিনি একটু দুর্বল বোধ করেন এবং তার কথা জড়িয়ে যায়। প্রসঙ্গত, বয়সের চাপে ঝুঁকে পড়া বাইডেনকে নিয়ে বিগত বেশ কয়েক মাস ধরেই সোশ্যাল মিডিয়ায় নানান ঠাট্টা তামাশা হচ্ছে। ট্রাম্পও বাইডেনের শারীরিক অবস্থা নিয়ে তোপ দেগেছেন বারবার। সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান, ফক্স নিউজ