ঝিনাইদহের কালীগঞ্জে নার্সিং শিক্ষার্থী নাসরিন নাহার শামিমার অস্বাভাবিক মৃত্যু নিয়ে এলাকায় শোক এবং উদ্বেগ চলছে। সকাল ১০টায় কালীগঞ্জ মেইন বাসস্ট্যান্ডে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। এতে অংশ নেন শামিমার সহপাঠী, স্থানীয় শিক্ষার্থী ও সাধারণ মানুষ।
মানববন্ধনে বক্তারা অভিযোগ করেন, শামিমা স্বাভাবিকভাবে আত্মহত্যা করতে পারেনা। তাদের বক্তব্য, পরিকল্পিতভাবে তাকে হত্যা করে আত্মহত্যা বলে চালানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। সহপাঠীদের দৃঢ় অভিযোগ
সহপাঠি মিতুল বলেন, মৃত্যুর দিন সকালেও শামিমার সঙ্গে কথা হয়েছিল। তার আচরণে আত্মহত্যার কোনো লক্ষণ ছিল না। আমরা কিছু অডিও ক্লিপ পেয়েছি, যা থেকে বোঝা যায় শামিমাকে পরিবারের কেউ হয়তো অত্যাচার করছিল। এটি একমাত্র আত্মহত্যা হতে পারে না। অন্য সহপাঠি অভিযোগ করেন, শামিমার চিরকুট দেখানো হচ্ছে। কিন্তু চিরকুটের হাতের লেখা শামিমার লেখার সাথে মেলে না। এটি স্পষ্ট যে এখানে ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ২০ আগস্ট বুধবার সন্ধ্যায় কালীগঞ্জ পৌরসভার বলিদাপাড়া গ্রামের ওয়াপদা পাড়ার শিক্ষার্থী শামিমার গলায় ফাঁস দিয়ে মৃত্যুর খবর আসে। পরিবার এটিকে আত্মহত্যা বললেও, সহপাঠী ও প্রতিবেশীরা সন্দেহ প্রকাশ করেছেন, এটি একটি পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড হতে পারে। শামিমার লালন-পালন ও দেখাশোনার দায়িত্বে ছিলেন কালীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সাবেক সিনিয়র সেবিকা রাজিয়া সুলতানা দত্ত। মানববন্ধনের মূল দাবি শামিমার মৃত্যুর সঠিক ও সুষ্ঠু তদন্ত সম্ভাব্য হত্যাকাণ্ডের তথ্য উদঘাটন দোষীদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ। মানববন্ধনে অংশগ্রহণকারীরা প্রশাসন ও তদন্ত সংস্থার প্রতি উদাত্ত আহ্বান জানান, যেন শামিমার মৃত্যুর প্রকৃত কারণ দ্রুত উদঘাটন করা হয় এবং দোষীদের শাস্তি নিশ্চিত করা হয়।