বৃহস্পতিবার, ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৭:২৯ পূর্বাহ্ন

সিরাজগঞ্জ উল্লাপাড়ায় জামায়াতের গণমিছিল- বক্তব্য রাখলেন রফিকুল ইসলাম খান

জলিলুর রহমান জনি সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি
  • Update Time : মঙ্গলবার, ৫ আগস্ট, ২০২৫
  • ৭৩ Time View

সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়া উপজেলা সদরে সম্প্রতি অনুষ্ঠিত হয়েছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর একটি বিশাল গণমিছিল। উক্ত মিছিলে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী কেন্দ্রীয় সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল এবং বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতি মওলানা রফিকুল ইসলাম খান।

মিছিলটি শুরু হয় স্থানীয় জামে মসজিদের প্রাঙ্গণ থেকে এবং বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে উপজেলা চত্বরে সমাপ্ত হয়। এতে অংশগ্রহণ করেন দলের নেতাকর্মী, সমর্থক এবং সাধারণ জনগণ। মিছিলে বক্তৃতা প্রদানকালে মওলানা রফিকুল ইসলাম খান বলেন, “আমাদের লক্ষ্য হলো দেশে ইসলামী মূল্যবোধ প্রতিষ্ঠা করা এবং জনগণের সেবা করা। বর্তমান পরিস্থিতিতে দেশের রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা আনয়ন অত্যন্ত জরুরি।”

তিনি আরো বলেন, “বাংলাদেশ একটি সম্ভাবনাময় দেশ, এবং আমরা বিশ্বাস করি যে সঠিক নেতৃত্ব ও দিকনির্দেশনা পেলে এ দেশ আরও উন্নতির পথে এগিয়ে যাবে।” এ সময় তিনি দলের বিভিন্ন কার্যক্রম ও পরিকল্পনার কথাও তুলে ধরেন।

অনুষ্ঠানের আয়োজকরা জানান, উল্লাপাড়ার মতো অন্যান্য উপজেলাতেও জনগণের মধ্যে স্বচ্ছতা ও ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে এ ধরনের গণমিছিল ও সমাবেশের আয়োজন করা হবে। স্থানীয় জনগণও এই আয়োজনকে স্বাগত জানিয়েছে এবং শান্তিপূর্ণভাবে মিছিলে অংশগ্রহণ করেছে।

এদিকে, উল্লাপাড়া থানার অফিসার ইনচার্জ জানিয়েছেন, পুরো মিছিলটি শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন হয়েছে এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় পর্যাপ্ত ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছিল। পুলিশের উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মতো, এবং কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি।

সমাজ-সংস্কৃতির প্রেক্ষাপটে এই ধরনের মিছিল ও সমাবেশের প্রভাব বিশ্লেষণ করতে গিয়ে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, জামায়াতে ইসলামী একটি সুসংগঠিত দল হওয়ার কারণে তাদের কার্যক্রম সাধারণ মানুষের মধ্যে প্রভাব ফেলছে। তবে, একই সঙ্গে তারা সতর্ক করে দিয়েছেন, যে কোনো ধরনের রাজনৈতিক কার্যক্রমে সমাজের শান্তি ও স্থিতিশীলতা বিঘ্নিত না হয় সেদিকে লক্ষ্য রাখা জরুরি।

এই ধরনের গণমিছিল ও সমাবেশ রাজনৈতিক সচেতনতা বৃদ্ধির পাশাপাশি জনগণের মাঝে দলীয় মতাদর্শ প্রচারের একটি গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম হয়ে ওঠেছে। তবে, ভবিষ্যতে এই ধরনের আয়োজন আরও বৃহৎ পরিসরে করা হলে সরকারের পক্ষ থেকেও বিশেষ নজরদারি প্রয়োজন বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। বিশ্লেষকরা বলছেন, রাজনৈতিক দলগুলোর উচিত দেশ ও জনগণের স্বার্থে একসঙ্গে কাজ করা, যাতে দেশের রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা বজায় থাকে এবং উন্নয়নের ধারা অব্যাহত থাকে।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
© All rights reserved © 2024 Toroni24 Tv.
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com