ফরিদপুরের নর্থচ্যানেল ইউনিয়নের দুর্গম চরে বিষধর রাসেলস ভাইপারের কামড়ে হোসেন ব্যাপারী (৫০) নামের এক কৃষকের মৃত্যু হয়েছে।
শুক্রবার (২১ জুন) বেলা ১১টার দিকে ফরিদপুরের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি। এর আগে বৃহস্পতিবার দুপুরের দিকে তাঁকে সাপটি কামড় দেয়।
এদিকে ডিক্রির চর ইউনিয়নে দুই দিনে দুটি রাসেলস ভাইপার দেখতে পেয়ে পিটিয়ে মেরেছেন গ্রামবাসী।
রাসেলস ভাইপারের কামড়ে মারা যাওয়া হোসেন ব্যাপারী উপজেলার নর্থচ্যানেল ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ডের পরেশ উল্লাহ ব্যাপারীর ছেলে।
ওই ওয়ার্ডের সাবেক ইউপি সদস্য হেলাল উদ্দিন বলেন, গতকাল দুপুরের দিকে হোসেন ব্যাপারীকে একটি রাসেলস ভাইপার কামড়ায়। দ্রুত তাঁকে ট্রলারে পদ্মা নদী পাড়ি দিয়ে ফরিদপুরের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। অবস্থার উন্নতি না হওয়ায় তাঁকে ঢাকায় নেওয়ার প্রস্তুতি চলছিল। তার আগেই শুক্রবার বেলা ১১টার দিকে মারা যান তিনি।
এদিকে শুক্রবার দুপুর ১২টার দিকে নর্থচ্যানেল ইউনিয়নের চরধোলাইতে খেতে কাজ করার সময় একটি রাসেলস ভাইপার দেখতে পান মুরাদ মোল্লা (৪৫) নামের এক কৃষক। তিনি ডিক্রির চর ইউনিয়নের আইজ উদ্দীন মাতুব্বরের ডাঙ্গি গ্রামের বাসিন্দা। পরে তিনি সাপটি পিটিয়ে মেরে সিঅ্যান্ডবি ঘাট এলাকায় নিয়ে আসেন।
মুরাদ মোল্লা বলেন, ‘বাদামের জমিতে কাজ করার সময় সাপটি নজরে পড়ে। এরপর লাঠি এনে তিন-চারটি বাড়ি মেরে সাপটি মেরে ফেলি।’
এর বাইরে একই ইউনিয়নে পৃথক আরেকটি রাসেলস ভাইপার মারার তথ্য নিশ্চিত করেন ডিক্রির চর ইউপি চেয়ারম্যান মেহেদী হাসান।
তিনি বলেন, গতকাল দুপুরে ইউনিয়নের সিঅ্যান্ডবি ঘাট এলাকায় পদ্মা নদীর পাশে একটি রাসেলস ভাইপার দেখে পিটিয়ে মারেন এলাকাবাসী।