মুন্সীগঞ্জ শহরের উপকন্ঠ পঞ্চসার ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানের হুমকিতে একটি মার্কেটের প্রায় ৩০ টি দোকান বন্ধ রয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। একই সঙ্গে ওই ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে ৫ কোটি টাকা চাঁদা দাবীর অভিযোগ করা হয়েছে। শহরের উপকন্ঠ পঞ্চসার ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান
গোলাম মোস্তফার বিরুদ্ধে এসব অভিযোগ এনে থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন ইউনিয়নের মুক্তারপুর পেট্রোল পাম্প সংলগ্ন “লায়লা প্লাজা” নামে নির্মানাধীন মাকেটের
মালিক প্রয়াত মৃত হাজী আমির হোসেনের ছেলে রিয়াদ হোসেন (৫৫)। তিনি গতকাল রবিবার দিনগত রাতে মুন্সীগঞ্জ সদর থানায় ইউপি চেয়ারম্যান গোলাম মোস্তফাসহ ৪ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত পরিচয়ের আরো ৪-৫ জনের নামে লিখিত এ অভিযোগ দায়ের করেন।
রিয়াদ হোসেন জানান, পঞ্চসার ইউনিয়নের মুক্তারপুর পেট্রোল পাম্প সংলগ্ন নিজেদের সম্পত্তিতে সপ্তম তলাবিশিষ্ট একটি মার্কেট নির্মান শুরু করেন তার বাবা। লায়লা প্লাজা নামে এ মার্কেট নির্মানের শুরু থেকেই পঞ্চসার ইউনিয়নের চেয়ারম্যান গোলাম মোস্তফা তার বাবার কাছে চাঁদা দাবী করে আসছিলো। ইউপি চেয়ারম্যানের ভয়ভীতিতে ২০২৩ সালের ১১ আগষ্ট তার বাবা আমির হোসেন স্ট্রোক করে মারা যান। ইতোমধ্যে মার্কেট ভবনের নীচতলা পুরোপুরি নির্মিত হয়েছে। আর ওই নীচতলায়
কাপড়, কসমেটিক ও ক্রোকাড়িজের ৩০ টি দোকান ভাড়া দেওয়া হয়ে গেছে। চলতি বছরের ২৭ মে ইউপি চেয়ারম্যান গোলাম মোস্তফা তার দলবল নিয়ে মার্কেট ভবনে গিয়ে অস্ত্রসস্ত্র প্রদর্শন করে দোকানদারদের হুমকি প্রদান করে। একই সঙ্গে ৫ কোটি টাকা চাঁদা দাবী করে। ওই ইউপি চেয়ারম্যানের হুমকির ভয়ে আজ
সোমবার পর্যন্ত মার্কেটের দোকান গুলো বন্ধ রেখেছে দোকানদাররা।
ভুক্তভোগী রিয়াদ হোসেন বলেন, সামনে ঈদুল আজহা। মার্কেটের ভাড়া নেওয়া দোকানদারা এতে বিপাকে পড়েছেন। দোকান বন্ধ থাকায় ঈদের সামনে তাদের বেচাকিনিতে ক্ষতি
সাধন হচ্ছে। ইউপি চেয়ারম্যানের ভয়ে তারা দোকাপাট খুলতে তারা সাহস পাচ্ছে না। এ অবস্থায় আমি ইউপি চেয়ারম্যানের হাত থেকে বাঁচতে থানা পুলিশের দ্বারস্ত হয়েছি। আমি এর
প্রতিকার চাই।
এদিকে, ইউপি চেয়ারম্যান গোলাম মোস্তফা বন্ধ থাকা দোকানদারদের দোকান না খোলার জন্য হুমকি প্রদান করে আসছে। দোকান খুললেই তাদের লাখ টাকা জরিমানা দিতে হবে বলে ইউপ
চেয়ারম্যান তাদের হুমকি দিচ্ছে। এতে দোকানদাররা ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে কোন কথা বলতে সাহস পাচ্ছে না।
এ ব্যাপারে ইউপি চেয়ারম্যান গোলাম মোস্তফা সাংবাদিকদের বলেন, রিয়াদ হোসেনের বাবা আমির হোসেন জীবিত থাকা অবস্থায় মার্কেট বিক্রি নিয়ে আমার সঙ্গে লেনদেন হয়েছিলো।
ওই সময় আমি আমির হোসেনের ব্যাংক অ্যাকাউন্টে ১ কোটি ৯০ লাখ টাকা দিয়েছিলাম। কিন্তু উনি মারা যাওয়ার পর তার ছেলে রিয়াদ বিষয়টি মানছে না।
সদর থানার ওসি আমিনুল ইসলাম বলেন, ইউপি চেয়ারম্যান গোলাম মোস্তফার বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ পেয়েছি।
ঘটনার তদন্ত করা হচ্ছে। প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার প্রক্রিয়া চলছে।