মাদারীপুরের কালকিনিতে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে ইউপি সদস্য ও তার ছেলে এবং তার সমর্থককে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। শুক্রবার (২৮ ডিসেম্বর) দিবাগত ভোররাতে জেলার কালকিনি উপজেলার বাঁশগাড়ি ইউনিয়নে এ ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমান সুমন ও তার লোকজনদের অভিযুক্ত করা হয়েছে।
এ ঘটনায় নিহতরা হলেন, ইউপি সদস্য আখতার শিকদার ও তার ছেলে মারুফ শিকদার এবং তার সমর্থক সিরাজুল চৌকিদার। নিহত সিরাজ চৌকিদার একই এলাকার রশিদ চৌকিদারের ছেলে।
স্থানীয় ও প্রশাসনের সূত্রের বরাত দিয়ে হরিণাকুণ্ডুর প্রতিনিধি শিশির পারভেজ জানায়, দীর্ঘ বছর ধরে একই ইউনিয়নের দুই ইউপি সদস্য আখতার শিকদার ও মোস্তাফিজুর রহমান সুমনের মধ্যে আধিপত্য নিয়ে দ্বন্দ চলছিল। এরই জের ধরে শুক্রবার (২৮ ডিসেম্বর) দিবাগত ভোররাতে দুই পক্ষের সাথে সংঘর্ষ হয়েছিল। ওই সময় একাধিক ককটেলও বিস্ফোরণ হয়েছিল।এতে ইউপি সদস্য আখতার শিকদার ঘটনাস্থলেই নিহত হয়। এসময় উভয়পক্ষের ২০ থেকে ৩০ জন আহত হয় তন্মধ্যে আখতার শিকদারের ছেলে মারুফ শিকদার ও সিরাজ চৌকিদার গুরুতর আহত হয়। তাদের উদ্ধার করে মাদারীপুর ও শরীয়তপুরের বিভিন্ন হাসপাতাল ও ক্লিনিকে ভর্তি করা হয়েছে। শরীয়তপুর হাসপাতালে থাকাকালে সকালে মারুফ শিকদারের মৃত্যু হয়। অপরদিকে সিরাজুল চৌকিদারের অবস্থা বেগতি হওয়ায় ঢাকা নেওয়ার পথেই তার মৃত্যু হয় ।
মাদারীপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জাহাঙ্গীর আলমের বরাত দিয়ে প্রতিনিধি শিশির পারভেজ জানায়, নিহত আখতার এবং ইউপি চেয়ারম্যান সুমনের সাথে দীর্ঘদিন যাবৎ রাজনৈতিক ও আধিপত্য বিস্তার নিয়ে বিরোধ চলছিল। এরই জের ধরে উভয়পক্ষের সংঘর্ষে আখতার মেম্বার তার ছেলেসহ তিনজন নিহত হয়েছে।
এঘটনার পরপরই এলাকায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। যদিও পরে সেনাবাহিনী, পুলিশ ও র্যাব ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে নিয়েছেন।