‘ছেলে না হয়ে মেয়ে হলেই ভালো’। আমাদের সামাজিক জীবনে চলার পথে প্রায়শ এমন কথা শোনা যায়। কথাটি যেন সত্তুরোর্ধ বৃদ্ধা রহিমা খাতুনের জন্যে শতভাগ প্রযোজ্য। চিকিৎসার কথা বলে সত্তোরোর্ধ মা’কে ছেলে ফেলে গেছে রাস্তায়। পরে স্থানীয় এক সাংবাদিকের সহায়তায় অনেক কষ্টে সন্তানদের খোঁজ পাওয়ার পর মেয়ে মাকে তার কাছে পৌঁছে দেওয়ার অনুরোধ করেন স্থানীয়দের কাছে। বর্তমানে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন আছেন বৃদ্ধ রহিমা।
স্থানীয়রা জানায়, বয়সের ভাড়ে নুয্য শারীরিকভাবে চলাচলে অক্ষম রহিমা বেগম নামে এক বৃদ্ধাকে শনিবার রাতে স্থানীয়রা মুন্সীগঞ্জের সিরাজদিখান উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন।
এরআগে, স্থানীয় সাংবাদিক আমির হোসেন ঢালি খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুঁটে যান। স্থানীয় কুসুমপুর গ্রামের এক ইজিবাইক চালক ও এক অজ্ঞাত নারীর সহায়তায় নিয়ে যান উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে।
সেখানে নিয়ে ওই নারীর সাথে কথা বলে নাম জানতে পারেন। ঠিকানা যেনে ফোনে কথা বলে ছবি পাঠান রংপুর বিভাগের কুড়িগ্রাম জেলার উলিপুর উপজেলার তবকপুর ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান হারুন অর রশিদের সাথে। তিনি ছবি দেখে জানান, বৃদ্ধা রহিমা একই ইউনিয়নের জনৈক আবুল হোসেনের স্ত্রী।
তিনি আরও জানান, রহিমা খাতুনের দুই ছেলে মুন্সীগঞ্জে থাকেন। আর মেয়ে থাকেন টাঙ্গাইলের সখিপুরে। মেয়ের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি জানান, তার দুই ভাই থাকেন মুন্সিগঞ্জ। ভাইদের সাথেই থাকতেন মা। কথা ছিল চিকিৎসা করানোর। হয়তো চিকিৎসা করাতেই নেয়া হয়েছিল সেখানে। কিন্তু কেন রাস্তায় ফেলে গেলেন সে বিষয়ে তিনি বলতে পারবেন না।
এছাড়া, তার ছোট ছোট দুটি শিশু সন্তান রেখে তার মাকে নিয়ে আসা এই মুহুর্তে সম্ভব না। তবে, তার কাছে নিয়ে যেতে সকলের সহযোগিতা চান।
এদিকে বৃদ্ধা রহিমা খাতুন, বর্তমানে সিরাজদিখান উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ডা. আঞ্জুমান আরার নির্দেশে হাসপালের জরুরী বিভাগের চিকিৎসক ডাক্তার মুশফিকুর রহমান রাজীবের তত্ত¡াবধানে আছেন এবং সেখানে কর্মরত সেবিকারা তার সর্বোচ্চ সেবা দিচ্ছেন।