একজন মাত্র সাব-রেজিস্ট্রার দিয়ে চলছে ঝালকাঠির চার উপজেলার ভূমি রেজিস্ট্রি অফিসের কার্যক্রম। এতে জমি ক্রেতা-বিক্রেতাদের ভোগান্তি বেড়েছে চরমে। দীর্ঘদিন যাবৎ এমন সমস্যায় পড়ে আছে ঝালকাঠিবাসী। ফলে জরুরি প্রয়োজনে জমি ক্রয়-বিক্রয় ও কাগজপত্র উত্তোলন করতে পারছেন না সেবাগ্রহীতারা। এতে রাজস্বও হারাচ্ছে সরকার। এ ভোগান্তি থেকে দ্রুত পরিত্রাণের দাবি জানিয়েছে সেবা নিতে আসা সাধারণ মানুষ।
জেলা রেজিস্ট্রার এর কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, ঝালকাঠি সদর, নলছিটি ও কাঁঠালিয়া উপজেলায় সাব-রেজিস্ট্রার পদ শূন্য রয়েছে বেশ কয়েক মাস ধরে। শুধু রাজাপুর উপজেলায় রয়েছেন সাব-রেজিস্ট্রার। সপ্তাহে তিনি ঝালকাঠি সদরে দুইদিন বাকি উপজেলায় একদিন অফিস করছেন।
জমির ক্রেতা-বিক্রেতারা বলেন, সপ্তাহে ৫ দিনই একজন সাব-রেজিস্ট্রারকে অফিসে প্রয়োজন। নির্দিষ্ট সময়ে দলিল রেজিস্ট্রি ও দলিলের নকল না পেয়ে হয়রানির শিকার হচ্ছেন অনেকে। সাব-রেজিস্ট্রারের স্বাক্ষর ছাড়া কিছুই হয় না। এমন গুরুত্বপূর্ণ জায়গাতে সাব-রেজিস্ট্রার না থাকায় সব কাজ স্থবির হয়ে পড়ে আছে।
৪ কার্যালয়ের দায়িত্বে থাকা রাজাপুর উপজেলার সাব-রেজিস্ট্রার মো. রিয়াজুল ইসলাম বলেন, আমার একটু কষ্ট হলেও চার উপজেলার দায়িত্ব পালন করছি। অফিস টাইমের বাহিরেও আমি একটু সময় নিয়ে সব দলিল রেজিস্ট্রি করার সাধ্যমতো চেষ্টা করে যাচ্ছি।এখন একদিনেই সব কাজ করতে হচ্ছে।
জেলা রেজিস্ট্রার মহসিন মিয়া বলেন, একটি অফিস বাদে বাকি ৩টি অফিসে সাব-রেজিস্ট্রার না থাকার বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। আশা করি, নতুন সাব-রেজিস্ট্রার পেলে সমস্যাগুলো আর থাকবে না।