মুন্সীগঞ্জ সদর উপজেলায় মুন্নী আক্তার (২১) নামে এক গৃহবধূ গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যা করেছে। তিনি পৌরসভার চরশীলমান্দি গ্রামের মজিবর কাজীর স্ত্রী। ২০১৭ সালে একই গ্রামের জসীম কাজীর সাথে মুন্নীর সাথে বিয়ে হয়। তাদের ঘরে আফরোজা জাহান নামের ৬ বছর বয়সী একটি কন্যা সন্তান রয়েছে। জানা গেছে যৌতুক এর জন্য তার সাথে শ্বশুর বাড়ির লোকজনের কথা কাটাকাটি প্রায়শই হয়। তাদের প্ররোচণায় অবশেষে আত্মহত্যা করে বসেন।
এ ঘটনায় মুন্সীগঞ্জ সদর থানায় বাদী হয়ে একটি অপমৃত্য মামলা করেছেন নিহত মুন্নী আক্তারের ভাই ফয়সাল হোসেন। নিহত মুন্নীর মা আসমা বেগম অভিযোগ করে বলেন, “আমার মেয়ে মুন্নীকে বিয়ের পর থেকে তার স্বামী জসীম ও তার পরিবারের সদস্যরা বিভিন্ন সময় যৌতুক দাবী করে শারীরিক ও মানসিকভাবে নির্যাতন করতো। আমরা মেয়ের সুখের কথা চিন্তা করে জসীমের ভিটিতে বারান্দাসহ ১টি চৌচালা টিনের ঘর তুলে দেই। আমাদের আর্থিক সহযোগিতায় জসীম রোমানিয়া যায়। আমার মেয়ের জসীম দেশে জুয়া খেলায়।আসক্ত ছিল এবং জসীম রোমানিয়া যেয়েও জুয়া খেলে ঋণগ্রস্ত হয়ে পড়ে। ঋণ পরিশোধের জন্য বিভিন্ন সময় টেলিফোন করে আমার মেয়েকে মানসিকভাবে বিপর্যস্ত করে।” তিনি আরো অভিযোগ করে বলেন, “ঘটনার দিন রোমানিয়া থেকে আমার মেয়ের সাথে জসীম কথা বলার পরপরই জসীমের প্ররোচণায় ফ্যানের সাথে ফাঁসি দিয়ে আত্মহত্যা করে মুন্নী। আমরা স্থানীয় লোকজনের সহযোগিতায় আমার মেয়েকে মুন্সীগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে নিয়া আসলে কর্তব্যরত ডাক্তার মুন্নীকে মৃত ঘোষণা করেন।” এ ঘটনা ধামাচাপা দিতে জসীমের পরিবার বিভিন্ন সময় হুমকি ধামকি দিচ্ছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি। মুন্সীগঞ্জ সদর থানার ওসি মোঃ খলিলুর রহমান জানান, খবর পেয়ে পুলিশ হাসপাতালে যায়। এ বিষয়ে থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা করা হয়েছে। ময়না তদন্তের জন্য লাশ মর্গে পাঠানো হয়েছে।