জামালপুরের সরিষাবাড়ী উপজেলায় বিএনপির অভ্যন্তরীণ আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দুই গ্রুপের মধ্যে তীব্র সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে।
বৃহস্প্রতিবার (২৯ আগস্ট) মহাদান ইউনিয়নে বটতলা মোড় এলাকায় খিচুরি রান্নাকে কেন্দ্র করে এ ঘটনা ঘটে। এতে ৫টি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান সহ ১০টি বসতবাড়ি ভাঙচুর করে।
স্থানীয়দের সুত্রে জানা যায়, বৃহস্পতিবার সকালে মহাদানের বটতলা এলাকায় বিএনপির এক দল সমর্থক খিচুরি রান্নার আয়োজন করে। এতে একই এলাকার বিএনপি নেতা লিটন মাস্টারের নেতৃত্বে কিছু সন্ত্রাসী বাহিনী তাদের উপড় আক্রমণ করে চেয়ার, টেবিল, খাবার নস্ট করে ভাংচুর করে চলে যায়। পরে ক্ষিপ্ত হয়ে নরুল ইসলাম নুরীর নেতৃত্বে লিটন সমর্থকদের উপর হামলা করে। এসময় তাদের দোকান পাট সহ ১০টি বাড়িঘর ভাঙচুর ও লুটপাট করে নিয়ে যায়। এঘটনায় হামলার শিকার হয়ে উভয় পক্ষের অন্তত্য ১০/১২ জন আহত হয়। গুরুত্বর আহতদের সরিষাবাড়ী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ভর্তি করা হয়ে। পরে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে সেনাবাহিনীর টল টিম ও সরিষাবাড়ী থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরির্দশন করেন।
ভুক্তভোগী আমজাদ, ছাত্তার, জাহেদ, সুরজ, মিজানুর, আনোয়ার, মমিন, ইমরান, বাবু, সুমন, রফিক বলেন,..
এঘটনায় যুক্ত বিএনপি নেতা নুরুল ইসলাম নূরী জানান, তারা অর্তকিত আমাদের অনুষ্ঠানে এসে হামলা করে। লিটন বিএনপির নামে অপরাজনীতি করছেন। সে মুলত তাল তলা দও কে কেন্দ্র করে আমাদের উপর হামলা করেছেন। আমাকে সহ আমাদের লোকদের পিটিয়ে আহত করেছেন।
মহাদান ইউনিয়ন বিএনপি সভাপতি আব্দুল ওহাব জানান, আজকে যে ঘটনা ঘটেছে এটি একটি নেক্কারজনক ঘটনা বলে আমি মনে করি।আমি অসুস্থ থাকার কারণে ঘটনাস্থলে যাইতে পারি নাই। তবে এধরণের ঘটনা বিএনপি কোনদিন আশা করে না। ভবিষ্যতেও কোনদিন আশা করবে না। এ ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।
এঘটনায় জেলা বিএনপির সভাপতি শামীম তালুকদার বলেন, বিষয়টি শুনেছি, আমি এলাকার বাহিরে আছি। পার্টি অফিসে নেতৃবৃন্দরা বসে বিষয়টি আলোচনা করে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এব্যাপারে সরিষাবাড়ী থানার ওসি মুশফিকুর রহমান বলেন, স্থানীয় তালতলা দও নিয়ে দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ ও ভাঙচুরের ঘটনার খবর পেয়ে পুলিশ ও সেনাবাহিনীর ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে। এখনো কোন অভিযোগ পাইনিই তবে অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।