যশোরের শার্শা শার্শা নাভারণ ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ ইব্রাহিম খলিলের পদত্যাগের দাবিতে কলেজ প্রাঙ্গণে ও মহাসড়কে টানা কয়েকদিন বিক্ষোভ ও অবস্থান কর্মসূচী পালন করেছে সাধারন শিক্ষার্থীরা। শিক্ষার্থীরা অধ্যক্ষকে পদত্যাগের জন্য ২৪ ঘন্টার আল্টিমেটাম সময় বেধে দিয়েছেন।
বুধবার (২১ আগষ্ট)সকাল ১১ টার দিকে কলেজ প্রাঙ্গণে ও যশোর-বেনাপোল এই বিক্ষোভ ও অবস্থান কর্মসুচী পালন করে শিক্ষার্থীরা।
শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করে বলেন সেচ্ছাচারিতা দূর্নীতিগ্রস্ত ও রাজনৈতিক পদধারী কোন ব্যক্তি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কখনো দায়িত্ব পালন করতে পারে না।তাদের অভিযোগ অধ্যক্ষ ইব্রাহিম খলিল শার্শা উপজেলা আওয়ামীলীগ সাধারন সম্পাদক ও জেলা পরিষদের সদস্য দ্বায়িত্ব পালন করছেন।এই কারনে তিনি কলেজকে দলীয় কলেজ বানিয়েছেন এবং দলীয় প্রভাব বিস্তার করে নিজ ইচ্ছামত যা ইচ্ছা তাই করেছেন।
আমরা তার পদত্যাগ দাবী করেছি এবং তিনি পদত্যাগ করবেন বলে আমরা আশাবাদী।
শিক্ষার্থীরা আরো বলেন এই কলেজে রাজনৈতিক এজেন্ডা বাস্তবায়ন করা জন্য শিক্ষক,অফিস সহকারীসহ অধ্যাক্ষ ইব্রাহিম খলিলের সক্রিয় একটি সিন্ডিকেট দীর্ঘ যাবৎ সক্রিয়ভাবে কাজ করে যাচ্ছে। তদন্ত সাপেক্ষে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানাচ্ছি।
অধ্যক্ষ ইব্রাহিম খলিল ১৯৯৬ সালে সমাজ-বিজ্ঞানের অধ্যাপক হিসাবে যোগাদান করেন তৎকালীন আ.লীগের শাসনামলে। এরপরে ২০১২ সালে আলাউদ্দীনের চেরাগের ছোয়া পেয়ে বনে যান অধ্যক্ষ সিনিয়র শিক্ষকদের তাক লাগিয়ে এবং তিনি স্থানীয় আ.লীগের রাজনীতিতে জড়িয়ে পড়েন সক্রিয়ভাবে ।তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন রাজনৈতিক প্রভাব খাঁটিয়ে নিয়োগ বাণিজ্যসহ বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগ রয়েছে।
অধ্যক্ষ ইব্রাহিম খলিল সাথে যোগযোগ করতে গেলে তাকে বাসা বা মোবাইলে পাওয়া যায়নি।
শিক্ষার্থীরা জানান অধ্যক্ষ ইব্রাহিম খলিল পদত্যাগ না করা পযর্ন্ত আমাদের আন্দোলন চলবে।