ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) শিক্ষার্থী সাজিদ আব্দুল্লাহ হত্যার বিচার, দ্রুত ছাত্রসংসদের নীতিমালা ও রোডম্যাপ প্রদান, ডিজিটাল পেমেন্ট নিশ্চিতকরণ, নির্মাণাধীন হল চালু এবং মেধা ও স্বচ্ছতার ভিত্তিতে শিক্ষক নিয়োগের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও ছাত্র সমাবেশ করেছে শাখা ছাত্রশিবির।
শনিবার (১৮ অক্টোবর) দুপুর ১ টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের বটতলা থেকে মিছিল বের হয়। পরে মিছিল নিয়ে ক্যাম্পাসের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে একই স্থানে এসে ছাত্র সমাবেশে মিলিত হয়।
এসময় তারা, “ইকসু মোদের অধিকার, দিতে হবে দিতে হবে”, “ইকসু নিয়ে তাল বাহানা, চলবে না চলবে না”, “আবু সাঈদের বাংলায়, নিয়োগ বাণিজ্যের ঠাঁই নাই”, “মেধাবীদের রক্ত, বৃথা যেতে দেব না”, “আপোষ না সংগ্রাম, সংগ্রাম সংগ্রাম”, “খুন হয়েছে আমার ভাই, খুনিদের খোঁজ নাই”, “ইকসু নিয়ে তাল বাহানা, চলবে না চলবে না” এসব স্লোগান দেয়।
এসময় শাখা ছাত্রশিবির সভাপতি মাহমুদুল হাসান বলেন, আপনাদের ইন্টেলিজেন্স কি এত দুর্বল হয়েছে? ৯০ দিন হয়ে গেল একজনের হত্যাকারীকে এখনো শনাক্ত করা যায় নি? এটা শুধু বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনের না এটা ইন্টারিম গভর্নমেন্টের ব্যর্থতা। এর পিছনে কী রহস্য? জাতির সামনে উন্মুক্ত করতে হবে।
ইকসু সম্পর্কে বলেন, এখনো পর্যন্ত প্রশাসন কেন ছাত্র সংসদের ব্যাপারে কার্যকর পদক্ষেপ এখনো গ্রহণ করে নাই। ১৫ তারিখের মধ্যে নীতিমালা ফাইনাল করার কথা আজকে ১৮ তারিখ চলছে। ছাত্র সংসদ নিয়ে কোনো তালবাহানা চলবে না। যদি চেষ্টা চলে তাহলে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা তার দাঁতভাঙা জবাব দেবে।
এসময় পেমেন্ট সিস্টেম সম্পর্কে তিনি বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে যদি কোনো বিল পে করতে যাওয়া হয় তাহলে তার জুতা ক্ষয় হয়ে যায়। কয়েকটা ব্যাংকের সাথে কথা বলেছি তারা আমাদেরকে জানিয়েছেন, যদি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সদিচ্ছা থাকে মাত্র ২১ দিন সময় লাগবে পেমেন্ট সিস্টেমকে ডিজিটাল করতে। আপনারা যদি না পারেন, আমাদের সাথে কথা বলুন, আমরা পঁচিশ দিনের মধ্যে পেমেন্ট সিস্টেমকে ডিজিটাল করবো।
নির্মাণাধীন হল সম্পর্কে বলেন, হল টেন্ডার দেওয়া হয়েছে ১৮ সালে, কাজ শুরু হয়েছে ২১ সালে, আর এখনো কাজ চলমান। হলগুলো কবে উদ্বোধন হবে? আট বছর হয়ে যাচ্ছে। শুধু হলের নির্মাণ কাজ। এ বছর আপনারা সবগুলো হলের নির্মাণ কাজ সম্পন্ন করে শিক্ষার্থীদের হাতে হলগুলো বুঝিয়ে দিতে হবে এবং হলের সিট অবশ্যই মেধা ভিত্তিতে সিট দেওয়া নিশ্চিত করতে হবে।
সেশনজট শিক্ষক সংকট ও শিক্ষক নিয়োগ সম্পর্কে বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে অনেক ডিপার্টমেন্ট আছে যে ডিপার্টমেন্টে ব্যাচ সংখ্যা হচ্ছে পাঁচটি এমনকি সাতটি ব্যাচ সংখ্যা কিন্তু তাদের শিক্ষক মাত্র দুইজন,তিনজন।আপনারা বলেন সেশন জটকে জাদুঘরে পাঠাবেন, আপনারা বলেন সেশন জট মুক্ত করবেন, কিন্তু কার্যকর পদক্ষেপ না নিলে কিভাবে সেশন জট মুক্ত হবে?
১৫ বছরে যারা শাহবাগ কি ইসটাব্লিশ করে এদেশের আইন-কানুন বিচার ব্যবস্থাকে পশমাবিদ্ধ করেছে, গণহত্যাকে সমর্থন দিয়েছে, গণহত্যার পক্ষে সাফাই দিয়েছে, আওয়ামী সন্ত্রাসীদেরকে প্রতিষ্ঠিত রাখার জন্য জান-প্রাণ বাজি রেখে কাজ করেছে তাদেরকে আমরা শিক্ষক হিসেবে চাই না।