নেপালের রাজধানী কাঠমান্ডুতে শুরু হওয়া বিক্ষোভ ভয়াবহ সহিংসতায় রূপ নিয়েছে। বিক্ষোভ সামাল দিতে কাঠমান্ডুতে কারফিউ জারি করা হয়েছে। এর আগে বেশকিছু বিক্ষোভকারী নিরাপত্তাবাহিনীর বাধা উপেক্ষা করে রাজধানীতে অবস্থিত পার্লামেন্ট ভবনে ঢুকে পড়েন।
সোমবার (৮ সেপ্টেম্বর) সকালে দেশটির হাজার হাজার ছাত্র-জনতার এই বিক্ষোভে নিরাপত্তা বাহিনীর গুলিতে প্রাণহানির সংখ্যা বেড়ে ১৪ জনে পৌঁছেছে। এছাড়া আহত হয়েছেন আরও শত শত বিক্ষোভকারী।
এ সময় বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশ গুলি, টিয়ার গ্যাস ও জলকামান ব্যবহার করে। কিন্তু আন্দোলনকারীরা তাতে দমে যাননি। ক্রমেই উত্তপ্ত পরিস্থিতি সামাল দিতে সেনাবাহিনী মোতায়েন করতে বাধ্য হয় সরকার।
গত কয়েক সপ্তাহ ধরেই তরুণরা অনলাইনে ‘নেপো কিড’ ও ‘নেপো বেবিস’ হ্যাশট্যাগ ব্যবহার করে সরকারের বিরুদ্ধে প্রচারণা চালাচ্ছিলেন। সেই আন্দোলনই এবার রাস্তায় নেমে এসেছে। পরিস্থিতি আরও উত্তপ্ত হয় যখন সরকার নিবন্ধনহীন ২৬টি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম প্ল্যাটফর্ম বন্ধের ঘোষণা দেয়। এই সিদ্ধান্তকে মতপ্রকাশের স্বাধীনতার ওপর আঘাত হিসেবে দেখছেন আন্দোলনকারীরা। ক্ষুব্ধ তরুণ প্রজন্ম তখন অনলাইন আন্দোলনকে সড়কে নিয়ে আসার ডাক দেন।