কিশোরগঞ্জের শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এক হৃদয়বিদারক ঘটনা ঘটে। গত ১/৯/২০২৫ তারিখ আনুমানিক দুপুর ২.৫০ মিনিট এ ঘটনা ঘটে। ভুক্তভোগী মোহাম্মদ মহসিন হৃদরোগে আক্রান্ত সে দীর্ঘদিন ধরে কিশোরগঞ্জের বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা করে আসছে। ঘটনার দিন দুপুরে মহসিন (৬০)শারীরিকভাবে অসুস্থতা অনুভব করলে কিশোরগঞ্জ শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসা নিতে যাই। জরুরী বিভাগের দায়িত্বরত চিকিৎসক ডাক্তার মাহবুব আলম মিলন রোগীকে ভর্তি না নিয়ে কিশোরগঞ্জের প্রাইভেট ক্লিনিকের ডাক্তার হাবিবুর রহমানের নিকট যেতে বলে। রোগী প্রাইভেট ডাক্তারের কাছে যেতে অস্বীকার করলে রোগীর স্ত্রী ও সন্তানদের অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ শুরু করে এবং সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে পারবে না বলে রোগীকে গালিগালাজ করতে থাকে।
এক পর্যায়ে রোগী উক্ত প্রাইভেট হাসপাতালে যেতে পারবেন না বললে ডাক্তার মিলন ক্ষুব্দ হয়ে রোগীকে সজোরে লাথি মারে। উক্ত লাথি রোগির উরুতে লেগে জখম হয়। এবং রোগীকে পুনরায় মারতে আসলে আনসার সদস্যরা ডাক্তারের কবল হইতে রোগীকে উদ্ধার করে।
এ বিষয়ে রোগী কিশোরগঞ্জ শহরের ৩২ এলাকার মোহাম্মদ মহসীন (৬০) জানান, কিছুদিন আগে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয় এবং চিকিৎসা নিয়ে বাড়িতে যাওয়ার পর পুনরায় তাহার শরীর খারাপ হলে হাসপাতালে ভর্তি হতে চাই ডাক্তার তাকে ভর্তি না করে প্রাইভেট হাসপাতালে যেতে বলে। তিনি গরিব মানুষ এত টাকা পাবে কোথায় প্রাইভেট হাসপাতালে চিকিৎসা করানোর এ কথা বলিলে ডাক্তার গালিগালাজ করিতে থাকে এবং একপর্যায়ে হৃদরোগে আক্রান্ত রোগীকে লাথি মারে।। এ বিষয়ে মহসিন এর ছেলে শোলক মিয়া কিশোরগঞ্জ মডেল থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দাখিল করেন।
কিশোরগঞ্জ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, এ বিষয়ে আমরা একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি তদন্ত সাপেক্ষে আইন গত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
হাসপাতালে সহকারি পরিচালক নাসিরুজ্জামান জানান, এ বিষয়ে ৩ সদস্য বিশিষ্ট একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে এবং দ্রুত সময়ের মধ্যে ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন বলে আশ্বস্ত করেছে। অভিযুক্ত ডাক্তার মিলন কে কল দিয়ে পাওয়া যায়নি।