আজ ২২শে শ্রাবণ, বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ৮৪ তম প্রায়ণবার্ষিকী। ১৩৪৮ বঙ্গাব্দের ২২ শ্রাবণ কলকাতার জোড়াসাঁকোর পৈতৃক বাড়িতে তার জীবনাবসান হয়েছিল। তিনি শুধু একজন কবিই নন, ছিলেন একাধারে সংগীতস্রষ্টা, দার্শনিক ও মানবতাবাদী চিন্তক।
দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর ও সারদা সুন্দরী দেবী দম্পতির ১৫ সন্তানের মধ্যে ১৪তম ছিলেন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। তিনি ১২৬৮ বঙ্গাব্দের ২৫ বৈশাখ কলকাতার বিখ্যাত ঠাকুর পরিবারের জোড়াসাঁকোর বাড়িতে জন্মগ্রহণ করেন। মাত্র আট বছর বয়সে তিনি কবিতা লেখা শুরু করেন। তার জীবদ্দশায় এবং মৃত্যুর পর প্রকাশিত হয়েছে ৫২টি কাব্যগ্রন্থ, ৩৮টি নাটক, ১৩টি উপন্যাস, ৩৬টি প্রবন্ধ ও বহু গদ্য সংকলন।
১৯১৩ সালে ‘গীতাঞ্জলি’ কাব্যগ্রন্থের জন্য রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর নোবেল পুরস্কারে ভূষিত হন, যা বাংলা সাহিত্যকে পৌঁছে দেয় বিশ্বসাহিত্যের মর্যাদাপূর্ণ আসনে। শুধু সাহিত্যের ক্ষেত্রে নয়, আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধেও তার গান ছিল সাহস আর প্রেরণার উৎস। তার রচিত গানই আজ আমাদের জাতীয় সংগীত। এমন বহুমাত্রিক অবদানেই রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর বাঙালির হৃদয়ে চিরন্তন শ্রদ্ধা ও ভালোবাসার স্থান করে নিয়েছেন।