সিরাজগঞ্জের ট্রমা সেন্টার – পাঁচ বছরেও চালু হয়নি সিরাজগঞ্জে ১১ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত ট্রমা সেন্টার পাঁচ বছরে চালু হয়নি জনবলের অভাবে।
সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার মুলিবাড়ি রেলক্রসিংয়ের নিকটবর্তী এলাকায় পাঁচ বছর আগে প্রায় ১১ কোটি টাকা ব্যয়ে একটি ট্রমা সেন্টার নির্মাণ করা হয়। এই সেন্টারটি মূলত ঢাকা-রাজশাহী-রংপুর মহাসড়কে যেসকল দুর্ঘটনা ঘটে, সেসকল দুর্ঘটনায় আহত রোগীদের দ্রুত চিকিৎসা সেবা প্রদানের উদ্দেশ্যে নির্মিত হয়েছিল।
তবে পাঁচ বছর পেরিয়ে গেলেও জনবলের অভাবে সেন্টারটি চালু করা সম্ভব হয়নি। এই সেন্টারটির নির্মাণ কাজ সম্পন্ন হয় স্বাস্থ্য বিভাগের চাহিদার ভিত্তিতে এবং স্থানীয় স্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের কারিগরি ও স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের আর্থিক সহযোগিতায়।
ট্রমা সেন্টারটি নির্মাণের সময় প্রত্যাশা ছিল যে এটি এলাকার স্বাস্থ্যসেবার মান উন্নত করবে এবং দুর্ঘটনায় আহত রোগীদের জীবন রক্ষায় বিশেষ ভূমিকা রাখবে।
ট্রমা সেন্টার চালুর প্রধান অন্তরায় হলো জনবলের অভাব। প্রয়োজনীয় চিকিৎসক, নার্স এবং অন্যান্য স্বাস্থ্যকর্মীর অনুপস্থিতির কারণে সেন্টারটি কার্যকরভাবে পরিচালনা সম্ভব হচ্ছে না। স্থানীয় স্বাস্থ্য বিভাগ এই বিষয়টি নিয়ে উদ্বিগ্ন এবং সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে বারবার যোগাযোগ করেও সমাধান পায়নি।
স্থানীয় জনগণ এই সেন্টারের অচলাবস্থার জন্য ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। তাদের মতে, এই সেন্টারটি চালু হলে অনেক মানুষের জীবন বাঁচানো সম্ভব হতো এবং মহাসড়কে দুর্ঘটনায় আহত ব্যক্তিদের তাৎক্ষণিক চিকিৎসা সেবা পাওয়া যেত।
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তা জানিয়েছেন যে, জনবল নিয়োগের প্রক্রিয়া চলছে এবং শীঘ্রই এই সমস্যা সমাধান হবে বলে আশা করা হচ্ছে। তবে এই প্রক্রিয়া কবে সম্পন্ন হবে তা নির্দিষ্টভাবে জানানো হয়নি।
বিশ্বস্ত সূত্র জানিয়েছে যে, এই ধরনের ট্রমা সেন্টারগুলোকে দ্রুত চালু করার জন্য একটি সমন্বিত পরিকল্পনা তৈরি করা হচ্ছে। এতে করে স্বাস্থ্যসেবার মান উন্নত হবে এবং দুর্ঘটনার পরবর্তী জরুরি পরিস্থিতিগুলো মোকাবিলা করা সহজ হবে।
সিরাজগঞ্জের এই ট্রমা সেন্টারটি চালু হলে, তা শুধু সিরাজগঞ্জের নয়, বরং আশেপাশের জেলার মানুষের জন্যও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। এটি চালু করতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়া জরুরি।
জনসাধারণের প্রত্যাশা, সরকারি প্রতিশ্রুতি যত দ্রুত বাস্তবায়িত হবে, ততই মানুষের উপকার হবে।