সিরাজগঞ্জের কাজিপুরে শিক্ষাঙ্গনে নজিরবিহীন সন্ত্রাসের ঘটনা ঘটেছে। খাসরাজবাড়ি দাখিল মাদ্রাসার অফিসকক্ষে ঢুকে সুপারসহ একাধিক শিক্ষককে নৃশংসভাবে পিটিয়ে রক্তাক্ত করার অভিযোগ উঠেছে খাসরাজবাড়ি ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি রফিকুল ইসলাম ও তাঁর আশ্রিত ছাত্রদল নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে।
আজ দুপুর ১টার দিকে বিএনপি নেতার ছেলের পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ‘কমন না পড়া’কে কেন্দ্র করে ইউনিয়ন ছাত্রদলের সভাপতি জীবন প্রথমে শিক্ষকদের ওপর অশোভন আচরণ ও হুমকি চালায়। পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে গেলে মুহূর্তেই মাদ্রাসায় নেতাকর্মীদের জমায়েত হয়। এরপর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি রফিকুল ইসলামের সরাসরি নেতৃত্বে তিন দফায় শিক্ষক-কর্মচারীদের ওপর ধেয়ে আসে বর্বরোচিত হামলা। শিক্ষাঙ্গনে এ ধরণের আগ্রাসী তাণ্ডব স্থানীয়দের হতবাক করেছে।
হামলায় গুরুতর আহত হন সুপার মো. আলামিন। এছাড়া শিক্ষক শাজাহান, মোস্তফা, আব্দুল আজীজ, আবুল কালামসহ প্রায় সকল শিক্ষক রক্তাক্ত অবস্থায় মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, হামলাকারীরা ধারালো অস্ত্র ও লাঠিসোটা নিয়ে শিক্ষকদের ওপর নির্দয় আঘাত হানে। আহতদের দ্রুত উদ্ধার করে কাজিপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। একাধিক আহতের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানা গেছে।
অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে শয্যাশায়ী অবস্থায় থাকা সুপার আলামিন সাংবাদিকদের বলেন, এটি কোনো আকস্মিক ঘটনা নয়। মাদ্রাসার নিয়ন্ত্রণ দখল করতে পূর্বপরিকল্পিতভাবেই এই হামলা চালানো হয়েছে। আমাদের হত্যার উদ্দেশ্যেই তারা এসেছিল।
অভিযোগ উঠেছে, রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই প্রতিষ্ঠানটিতে অস্থিতিশীল পরিবেশ তৈরির চেষ্টা চালিয়ে আসছিল একটি চক্র। আজকের ঘটনা সেই চক্রের প্রকাশ্য শক্তি-প্রদর্শন বলে মনে করছেন সচেতন মহল।
এ ঘটনায় এলাকায় তীব্র ক্ষোভ ও উত্তেজনা বিরাজ করছে। স্থানীয়রা হামলাকারীদের দ্রুত গ্রেপ্তার এবং দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন।