সিরাজগঞ্জের কাজীপুরে বালুবাহী ট্রাকের ধাক্কায় তাসকিন আহমেদ (৯) নামের পঞ্চম শ্রেণিতে পড়ুয়া এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে।
গত শুক্রবার রাত ৮টায় উপজেলার মেঘাই-সোনামুখী আঞ্চলিক সড়কের শ্যামপুর এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় বিক্ষুব্ধ জনতা ট্রাকে আগুন ধরিয়ে দেন।নিহত শিশু তাসকিন আহমেদ বগুড়ার শেরপুরের শুবলী ইউনিয়নের শালফা এলাকার শরিফুল ইসলামের ছেলে।
এ ঘটনায় ইসলামের দ্বিতীয় শ্রেণিতে পড়ুয়া মেয়ে তোহা মনি (৭) ও স্ত্রী মুন্নি খাতুন (৩৫) গুরুতর আহত হয়েছেন। ট্রাকের চাকায় পিষ্ট হয়ে মুন্নি খাতুনের এক পা শরীর থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। তারা বর্তমানে বগুড়ার শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, শুক্রবার মেঘাই পর্যটন কেন্দ্রে ঘুরতে এসে রাত ৮টায় মোটরসাইকেলে করে সপরিবারে বাড়ি ফিরছিলেন শরিফুল ইসলাম। এ সময় শ্যামপুর ভোকেশনাল স্কুলের কাছে পৌঁছালে পিছন থেকে ছুটে আসা একটি বালুবাহী ট্রাক (ঢাকা মেট্রো ট-১৮-৩৪২৩) মোটরসাইকেলটিকে সজোরে ধাক্কা দেয়। এ সময় মোটরসাইকেলসহ আরোহীরা ছিটকে পাকা সড়কের ওপর পড়ে যান। পরে বালুবাহী ঘাতক ট্রাকটি তাদের চাপা দিলে ঘটনাস্থলেই তাসকিন আহমেদ মারা যায়।স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে কাজীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক উন্নত চিকিৎসার জন্য বগুড়ার শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজে নেয়ার জন্য পরামর্শ দেন।
প্রত্যক্ষদর্শী আব্দুল মালেক বলেন, ‘মেঘাই থেকে ওই মোটরসাইকেল পশ্চিম দিক যাচ্ছিল। পিছন থেকে এসে মোটরসাইকেলকে মেরে দেয় ট্রাকটি। একজন মহিলার পা ট্রাকের চাকার নিচে পড়ে শরীর থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে সড়কে পড়ে আছে।’
কাজীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক আসাদুজ্জামান রবিন বলেন, ‘হাসপাতালে পৌঁছার আগেই পথে মারা যায় শিশুটি। তার মার পায়ের অবস্থা ভালো না। তাঁকে জিয়া মেডিকেলে রেফার করা হয়েছে।’
কাজীপুর থানার সেকেন্ড অফিসার (এসআই) মেহেদি হাসান বলেন, ‘ট্রাকটিতে আগুন ধরিয়ে দেয় বিক্ষুব্ধ জনতা। এ ঘটনায় এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। এ সময় ট্রাকের চালক বা সহযোগী কাউকেই আটক করা সম্ভব হয়নি।’