সিরাজগঞ্জের সলঙ্গায় এক মর্মান্তিক ঘটনা ঘটেছে, যেখানে দশ বছর বয়সী এক শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগে ৭০ বছর বয়সী এক বৃদ্ধকে আটক করেছে পুলিশ। ঘটনাটি ঘটে উল্লাপাড়া উপজেলার হাটিকুমরুল ইউনিয়নের মাছিয়াকান্দি গ্রামে। অভিযুক্ত ব্যক্তির নাম আব্দুল ছামাদ, যিনি এই গ্রামেরই বাসিন্দা।
শুক্রবার (২৯ আগস্ট) পুলিশ তাকে তার গ্রাম থেকে আটক করে। এর আগে, বৃহস্পতিবার (২৮ আগস্ট) বিকেলে স্কুল থেকে বাড়ি ফেরার পথে শিশুটিকে ৫০ টাকা দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে আব্দুল ছামাদ তার শ্যালো মেশিন ঘরে নিয়ে যায় এবং সেখানে তাকে ধর্ষণ করে।
বাড়িতে ফিরে শিশুটি অসুস্থ হয়ে পড়লে সমস্ত ঘটনা তার পরিবারের কাছে খুলে বলে। এর পরিপ্রেক্ষিতে শিশুটির মা সলঙ্গা থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগ পাওয়ার পরপরই পুলিশ অভিযানে অভিযান চালিয়ে অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করে।
সলঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হুমায়ুন কবির এই ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, ‘ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়ার সাথেই অভিযুক্তকে আটক করা হয়েছে। এ ঘটনায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে এবং পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’
এই মর্মান্তিক ঘটনা সামাজিক ও মানবিক দিক থেকে গভীর উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। শিশু অধিকার রক্ষা ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে এই ধরনের অপরাধের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণের আহ্বান জানাচ্ছেন মানবাধিকার কর্মীরা।
অপরাধ বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই ধরনের ঘটনা প্রতিরোধে সমাজের সকল স্তরে সচেতনতা বৃদ্ধি করা জরুরি। এছাড়া এমন অপরাধের দ্রুত বিচারের মাধ্যমে অপরাধীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করা উচিত।
শিশুরা সমাজের ভবিষ্যৎ এবং তাদের সুরক্ষা ও অধিকার রক্ষা করা আমাদের সকলের দায়িত্ব। এ ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি রোধে সকলকে সম্মিলিতভাবে কাজ করতে হবে।
এদিকে, এই ঘটনায় স্থানীয় জনগণের মধ্যে তীব্র ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে এবং তারা দ্রুত বিচার দাবি করছেন। সমাজের নৈতিক ও সামাজিক দিক থেকে এই ধরনের ঘটনার প্রভাব বিশাল এবং এটি আমাদের মূল্যবোধের প্রতি প্রশ্ন তোলে।
এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে সমাজের সকল স্তরে শিশুদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে এবং অপরাধ প্রতিরোধে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করার জন্য সমাজকর্মী ও প্রশাসনের প্রতি আহ্বান জানানো হচ্ছে