কিশোরগঞ্জের করিমগঞ্জে কৃষক কাঞ্চন মিয়া হত্যা মামলায় এক আসামিকে যাবজ্জীবন ও এক জনকে ২ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত না হওয়ায় মামলার অপর ১১ আসামিকে বেকসুর খালাস দেওয়া হয়।
সোমবার (২৫ আগস্ট) বিকেলে কিশোরগঞ্জের চতুর্থ অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক সোহাগ রঞ্জন পাল এ রায় ঘোষণা দেন।
যাবজ্জীবন কারাদণ্ড প্রাপ্ত আসামি রফিকুল ইসলাম ওরফে জালাল জেলার করিমগঞ্জ উপজেলার সুতারপাড়া ইউনিয়নের চারিতলা গ্রামের বাসিন্দা। অপর দিকে ২ বছরের সাজাপ্রাপ্ত মোবারক হোসেন একই গ্রামের সিরাজুল ইসলামের ছেলে।
মামলার সংক্ষিপ্ত বিবরণে জানা যায়, আগের একটি মামলার বিরোধের জের ধরে ২০১৩ সালের ১৬ অক্টোবর চারিতলা গ্রামের মাহতাব উদ্দিনের ছেলে কাঞ্চন মিয়াকে পিটিয়ে ও বল্লমবিদ্ধ করে আহত করেন প্রতিপক্ষের লোকজন। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাকে প্রথমে করিমগঞ্জ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরদিন তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়। সেখানে ২০১৪ সালের ১ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত চিকিৎসা শেষে আবারও একই বছরের ২৫ ফেব্রুয়ারি তাকে কিশোরগঞ্জ ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় প্রায় চার মাস পর ৯ মার্চ কাঞ্চন মিয়ার মৃত্যু হয়।
এ ঘটনায় নিহতের বাবা বাদী হয়ে ১৭ জনকে আসামি করে করিমগঞ্জ থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। পুলিশ তদন্ত শেষে আদালতে ১৭ জনের নামে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। বিচারকাজ চলার সময় ৪ আসামির মৃত্যু হলে তাদের অভিযোগ থেকে বাদ দেওয়া হয়। বাকি ১৩ আসামির মধ্যে ১১ জনকে বেকসুর খালাস দেন আদালত।
বেকসুর খালাস পাওয়া আসামিরা হচ্ছেন- রফিকুল ইসলাম, সাইফুল ইসলাম, ফাইজুল ইসলাম, মারজুল ইসলাম, হাদিস মিয়া, নজরুল ইসলাম, রফিকুল ইসলাম, মানিক মিয়া, মাহতাব উদ্দিন, আবুল কাশেম ও আলতু মিয়া। রাষ্ট্রপক্ষে এপিপি ইদ্রিছ আলী বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।