সিরাজগঞ্জের এম এ মতিন কটন মিলস্ শ্রমিকরা বেতন-ভাতা বকেয়া পরিশোধের দাবিতে সড়ক অবরোধ করেন।
সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার শিয়ালকোল ইউনিয়নে অবস্থিত এম এ মতিন কটন মিলস্-এর শ্রমিকরা তাদের বেতন-ভাতা পরিশোধসহ বিভিন্ন দাবিতে সড়ক অবরোধ কর্মসূচি পালন করেছেন। শনিবার সকালে প্রায় ৭০০ থেকে ৮০০ শ্রমিক সিরাজগঞ্জ-নলকা আঞ্চলিক সড়কের বিসিক কার্যালয়ের সামনে অবস্থান নেন। এই আন্দোলনের নেতৃত্ব দেন মো. হাবিবুর রহমান।
এম এ মতিন কটন মিলস্ শ্রমিকরা তাদের আন্দোলনে বেতন বৃদ্ধি, বকেয়া বেতন দ্রুত পরিশোধ, প্রতি মাসের বেতন-ভাতা মাসের ১০ তারিখের মধ্যে দেওয়ার নিশ্চয়তা, অতিরিক্ত পরিশ্রম বন্ধ এবং শ্রমিক ছাঁটাই বন্ধসহ একাধিক দাবি উত্থাপন করেন। তাদের দাবিগুলো শ্রমিকদের জীবনযাত্রার মান উন্নয়ন এবং আর্থিক স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে করা হয়েছে।
অবরোধের কারণে সড়কে যানবাহন চলাচলে সাময়িকভাবে ব্যাঘাত ঘটে, এবং যাত্রীরা ভোগান্তির সম্মুখীন হন। তবে, আন্দোলনের ফলে কর্তৃপক্ষ শ্রমিকদের দাবির বিষয়ে সম্মতি জানায়, এবং পরবর্তীতে শ্রমিকরা তাদের অবরোধ কর্মসূচি প্রত্যাহার করেন।
এই আন্দোলন শ্রমিকদের কর্মক্ষেত্রে ন্যায্যতা ও সুষ্ঠু শ্রম পরিবেশের দাবিকে সামনে এনেছে। শ্রমিকদের দাবি ছিলো যে, তাদের বেতন ও ভাতা নিয়মিত এবং সঠিক সময়ে পরিশোধ করা উচিত। এছাড়া, অতিরিক্ত কাজের জন্য কোনো বাড়তি পেমেন্ট না পাওয়া এবং শ্রমিক ছাঁটাইয়ের আশঙ্কা তাদের মধ্যে অসন্তোষ সৃষ্টি করেছিল।
শ্রমিকদের আন্দোলনের পটভূমিতে দেখা যায় যে, দেশের অনেক শিল্প প্রতিষ্ঠানে শ্রমিকদের ন্যায্য অধিকার থেকে বঞ্চিত করা হয়। এম এ মতিন কটন মিলস্-এর শ্রমিকদের এই আন্দোলন দেশের অন্যান্য শিল্প প্রতিষ্ঠানের শ্রমিকদের জন্য একটি উদাহরণ হতে পারে।
বিশ্লেষকরা মনে করেন, শ্রম খাতের এই ধরনের সমস্যা সমাধানে শ্রমিকদের অধিকার নিশ্চিতকরণ এবং শ্রমিক-কর্তৃপক্ষের মধ্যে সুসম্পর্ক প্রতিষ্ঠার জন্য সরকারের পক্ষ থেকে যথাযথ নীতি প্রণয়ন এবং তার বাস্তবায়ন জরুরি। এতে করে শ্রমিকদের জীবনমান উন্নত হবে এবং শিল্প খাতের স্থিতিশীলতা নিশ্চিত হবে।