সিরাজগঞ্জের তাড়াশ উপজেলায় কমিউনিটি ক্লিনিকগুলোতে ওষুধ সংকটের কারণে গ্রামীণ স্বাস্থ্যসেবা ব্যাহত হচ্ছে। দেড় মাস ধরে ওষুধ সরবরাহ না থাকায় স্থানীয় বাসিন্দারা প্রয়োজনীয় চিকিৎসাসেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন।
মোনহারপুর গ্রামের কৃষক আছালদ সরকার জ্বর ও ব্যথা নিয়ে গ্রামের কমিউনিটি ক্লিনিকে যান। সেখানে উপস্থিত কমিউনিটি হেলথকেয়ার প্রোভাইডার (সিএইচসিপি) মোঃ মোক্তার হোসেন ওষুধের অভাবের কারণে তাঁকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে যাওয়ার পরামর্শ দেন। সিএইচসিপি বলেন, “আমাদের এখানে এক মাস ধরে কোনো ওষুধ নেই। একটি কার্টুন ওষুধ ছিল, যা ইতিমধ্যে শেষ হয়ে গেছে।”
তাড়াশ উপজেলায় ৩১টি কমিউনিটি ক্লিনিক স্থাপন করা হয়েছে, যার মধ্যে ২৯টি চালু আছে। এই ক্লিনিকগুলো সপ্তাহে ছয় দিন সকাল ৯টা থেকে বেলা ৩টা পর্যন্ত খোলা থাকে। সাধারণত তিন মাস পরপর ক্লিনিকগুলোতে ওষুধ সরবরাহ করা হতো, কিন্তু বর্তমানে কোনো ওষুধ সরবরাহ করা হচ্ছে না।
এ বিষয়ে তাড়াশ উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. এরফান আহমেদ জানান, “আমি খোঁজ নিয়ে দেখছি কোন কোন ক্লিনিকে কি সমস্যা আছে।” জেলা সিভিল সার্জন ডা. নুরুল আমিন বলেন, “তাড়াশের দায়িত্বে থাকা ডা. এরফান আহমেদের মাধ্যমে বিষয়টি সমাধান করা হবে।”
গ্রামীণ পর্যায়ে স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে কমিউনিটি ক্লিনিকগুলো গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। স্বল্প খরচে এবং সহজলভ্য চিকিৎসাসেবা প্রদান করতে এই ক্লিনিকগুলো স্থাপন করা হয়েছে। ওষুধ সংকটের কারণে সাধারণ মানুষ উপজেলায় গিয়ে চিকিৎসা নিতে বাধ্য হচ্ছেন, যা তাদের জন্য সময় ও অর্থের অপচয়।
বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, এই সংকট দ্রুত সমাধান না হলে গ্রামীণ স্বাস্থ্যসেবার উপর দীর্ঘমেয়াদী প্রভাব ফেলতে পারে। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এবং সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের উচিত দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করা।
সিরাজগঞ্জের এই সংকটের প্রেক্ষাপটে স্থানীয় প্রশাসন ও স্বাস্থ্য বিভাগকে একযোগে কাজ করার আহ্বান জানানো হয়েছে।