নেত্রকোণার কেন্দুয়ায় চাঞ্চল্যকর সিএনজি চালক নূর জামান (৩৮) হত্যা মামলার ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই মূল রহস্য উদঘাটন ও একজন আসামীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত ১৯ আগস্ট সকালে জীবিকার উদ্দেশ্যে নিজ বাড়ি থেকে অটোরিকশা নিয়ে বের হন নূর জামান। পরদিন (২০ আগস্ট) ভোররাতে খবর পেয়ে কেন্দুয়া থানা পুলিশ দুল্লী ব্রিজ এলাকায় গেলে একটি সিএনজি চালিত অটোরিকশা রক্তমাখা অবস্থায় ফেলে রাখা দেখতে পায়। পরে সেখান থেকে প্রায় ১০০ গজ দূরে হাওরে কচুরিপানার নিচ থেকে নূর জামানের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
এ ঘটনায় নিহতের স্ত্রী শিরিন আক্তার বাদী হয়ে কেন্দুয়া থানায় হত্যা মামলা (নং-১৫, তারিখ: ২০/০৮/২০২৫, ধারা ৩০২/২০১/৩৪ পেনাল কোড) দায়ের করেন।
পুলিশ জানায়, প্রাথমিকভাবে ধারনা করা হচ্ছে জমি সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে এ হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয়েছে। হত্যার পর সিএনজি ছিনিয়ে নেওয়া বা লাশ গুমের উদ্দেশ্যও থাকতে পারে বলে ধারণা করছে তদন্তকারীরা।
গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ২০ আগস্ট বিকেলে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সামনে থেকে মামলার সন্দেহভাজন আসামী অলি মিয়া (৩০), পিতা আব্দুর রাজ্জাক, গ্রাম রাঘবপুর, কেন্দুয়া কে গ্রেফতার করে পুলিশ। পরবর্তীতে আদালতে তিনি হত্যার সাথে জড়িত থাকার বিষয়ে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন।
এ সময় হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত ধারালো অস্ত্র উদ্ধার করেছে পুলিশ।
কেন্দুয়া থানার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই আব্দুল জলিল বলেন, “আমরা মূল রহস্য উদঘাটন করতে সক্ষম হয়েছি। বাকি আসামীদের গ্রেফতারের জন্য জোর তৎপরতা চলছে।”