গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জে আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে জমিতে জোরপূর্বক দেয়াল নির্মাণ। এতে বাধা দিতে গেলে হামলা, ভাংচুর ও লুটপাটের ঘটনা ঘটে। নারী ও শিশুসহ আহত হয়েছেন ৯ জন। আহতদের অনেকেই স্থানীয় চিকিৎসকদের পরামর্শ নিয়েছেন এবং বাকিরা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি আছেন। এ ঘটনায় অভিযোগ দিয়েছেন ভুক্তভোগী মো. আবদুল আজিজ (৭০)।
গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল ১১ টার দিকে উপজেলার বামনডাঙ্গা ইউনিয়নের জামাল গ্রামে এই ঘটনা ঘটেছে। মো. আবদুল আজিজ ওই গ্রামের মৃত ছোবারত ব্যাপারীর ছেলে।
আহতরা হলেন, মো. আবদুল আজিজ (৭০), তার স্ত্রী মোছাঃ মেহেনা বেগম (৬৫), ছেলে মো. মোকছেদ আলী(৩৮), মেয়ে মোছাঃ রোকছানা আক্তার (২৭), রুজিনা আক্তার রিয়া (২১), মোছাঃ রাজেকা আক্তার (২৯), নাতি মো. রেজওয়ান মিয়া (১৯), মো. রাকিব মিয়া (১০) ও মো. রাফি মিয়া (৭)।
অভিযোগে জানা যায়, জামাল গ্রামের আব্দুল আজিজের স্ত্রী মেহেনা বেগম ২০০৩ সালের ২ অক্টোবর জামাল মৌজার এসএ রেকর্ডীয় মালিকের কাছ থেকে ১৫ শতক জমি ক্রয় করেন। তখন থেকেই জমিটি দখলে ছিলো তাদের। হঠাৎ ওই জমির মালিকানা দাবি করেন রংপুর জেলার পীরগাছা উপজেলার অনন্তরাম গ্রামার মৃত বসন্ত বর্মণের ছেলে স্বপন বর্মন (৪৩)। এ নিয়ে উভয়ের মধে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ ও একাধিক মামলা-মোকদ্দমাও চলছে। বর্তমানে গাইবান্ধা জজ কোর্টে মামলা নং ৯২/২৫, ১৪৬/২৫, ৪৮২/২৫ এবং ৪৬১/২৪ বিচারাধীন রয়েছে।
অভিযোগে বলা হয়েছে, আদালতের নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও ঘটনার দিন সকালে স্বপন বর্মন জমিটি নিজের দাবি করে সেখানে দেয়াল নির্মাণ শুরু করেন। এতে বাধা দিলে আবদুল আজিজ গং এর লোকজন গুরুতর আহত হন।
এর আগে, গত ১২ আগস্ট দিবাগত রাত দেড়টার দিকে স্বপন বর্মনসহ একদল লোক দেশীয় অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে অনধিকার প্রবেশ করে টিনের বাউন্ডারি ও একটি ছাপড়া ঘর ভেঙে ফেলে, ভেতরের আসবাবপত্র ভাংচুর করে এবং টিনসহ মূল্যবান সামগ্রী লুটপাট চালায়। এতে প্রায় ১ লাখ ৭০ হাজার টাকার ক্ষতি হয়।
এ বিষয়ে সুন্দরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. আবদুল হাকিম আজাদ বলেন, অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।