জাতীয় সনদ বাস্তবায়নে শেষ মুহূর্তের তোড়জোড় চলছে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনে। বাস্তবায়ন নিয়ে ভিন্নমত বিএনপি-জামায়াত-এনসিপির।
১৫ ফেব্রুয়ারি রাষ্ট্রের বিভিন্ন ক্ষেত্রে মৌলিক সংস্কার বাস্তবায়নে ঐকমত্য তৈরির লক্ষ্যে যাত্রা শুরু করে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। এখন পর্যন্ত মোটা দাগে নির্বাচন কমিশন গঠনে সর্বসম্মতভাবে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে ঐক্য হয়েছে।
জুলাই সনদ নিয়ে চলছে রাজনীতিতে নানা সমীকরণ। বিএনপির আপত্তির পরও এতে বেশ কিছু বিষয় স্থান পাচ্ছে। তবে শতভাগ ঐক্য হওয়া বিষয়গুলো নিয়েই সিদ্ধান্তের পরামর্শ বিএনপির। আইনি ভিত্তি না থাকলে সনদে সই না করার সিদ্ধান্ত জামায়াতে ইসলামীর। আর গণপরিষদ নির্বাচনের মাধ্যমে সনদ বাস্তবায়নের দাবি জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি)।
এদিকে, চলতি মাসেই জাতীয় সনদ বাস্তবায়নে দ্রুত বেগে এগোচ্ছে ঐকমত্য কমিশন। দলীয় প্রধান প্রধানমন্ত্রী হতে পারবেন না কিংবা জ্যেষ্ঠতম বিচারকই প্রধান বিচারপতি হবেন, এমন নানা সিদ্ধান্তে বিএনপির আপত্তির পরও বৈঠকে উপস্থিত সংখ্যাগরিষ্ঠ দলের মতামতে সিদ্ধান্তে পৌঁছাচ্ছে কমিশন। যদিও এসব সিদ্ধান্তে ‘নোট অব ডিসেন্ট’ থাকছে বিএনপি ও সমমনা দলগুলোর।