শনিবার, ০৫ অক্টোবর ২০২৪, ০৫:১০ পূর্বাহ্ন

ভূরুঙ্গামারীতে বিপৎসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে দুধকুমার নদের পানি।

মোঃ কামরুল হাসান কাজল ভূরুঙ্গামারী (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধিঃ
  • Update Time : বুধবার, ১৯ জুন, ২০২৪
  • ৩৭ Time View
CREATOR: gd-jpeg v1.0 (using IJG JPEG v62), quality = 100?

উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢল আর গত কয়েকদিনের টানা ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে উত্তরের জেলা কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারী উপজেলার প্রধানতম নদী দুধকুমারের পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

এতে করে নদী অববাহিকার চর ও ডুবোচরে পানি ঢুকে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। ভাঙন আতঙ্কে দিন পার করছেন নদী পাড়ের বাসিন্দারা।

জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো)’র বন্যা পুর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র জানায়, আজ বুধবার (১৯ জুন) সকাল ৯টায় দুধকুমার নদের পানি পাটেশ্বরী পয়েন্টে গত ২৪ ঘণ্টায় ২২ সেন্টিনিটার বৃদ্ধি পেয়ে বিপৎসীমার ৫ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। 

পানি বৃদ্ধির ফলে এসব নদীর তীরবর্তী নিচু অঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। চরাঞ্চলে পানি ওঠার ফলে পানিবন্দি হয়ে পড়েছে এসব চরাঞ্চলের বাসিন্দারা। পানিতে তলিয়ে গেছে এসব চরের শাক-সবজি ও পাটের আবাদ।

দুধকুমার নদীর অববাহিকার পাইকেরছড়া ইউনিয়নের ছিটপাইকের ছড়া ও পাইক ডাঙ্গা, সোনাহাট ইউনিয়নের চরবলদিয়া, চর শতিপুরি, তিলাই ইউনিয়নের চরতিলাই, খোচা বাড়ির চর, চর-ভূরুঙ্গামারী ইউনিয়নের ইসলামপুর ও আন্ধারিঝাড় ইউনিয়নের চরধাউরারখুটি সহ বেশকিছু চরাঞ্চল তলিয়ে গেছে। এখানকার প্রায় ৩ শতাধিক পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। এসব এলাকার পাট, শাকসবজির আবাদ পানিতে তলিয়ে গেছে।

দুধকুমার নদী পাড়ের বাসিন্দা ফরিদুল, আমজাদ ও মোজাম্মেল হক জানান, যে হারে নদীর পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে তাতে দুই এক দিনের মধ্যে চরাঞ্চল পানিতে তলিয়ে যাবে। বন্যা হওয়ার আশঙ্কায় আছি। ভাঙন আতঙ্কে দিন পার করছেন নদী পাড়ের বাসিন্দারা।
ভূরুঙ্গামারী উপজেলার পাইকেরছড়া ইউনিয়নের ইউপি সদস্য জাহাঙ্গীর আলম হ্যাপি জানান, গত ৩ দিন থেকে ইউনিয়নটির পাইকডাঙ্গা ও ছিট পাইকের ছড়া গ্রামের শতাধিক পরিবার পানিবন্দি হয়ে আছে।

কুড়িগ্রামের রাজারহাট কৃষি আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগার জানায়, গত ২৪ ঘণ্টায় জেলায় ১৬২ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। আগামী কয়েকদিন জেলায় বজ্রসহ ভারী বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকবে।

কুড়িগ্রাম পাউবোর নির্বাহী প্রকৌশলী রাকিবুল হাসান জানান, উজানে ও দেশের বিভিন্ন জায়গায় ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে আগামী ২৪ থেকে ৪৮ ঘণ্টার ভিতরে জেলার সবগুলো নদ-নদীর পানি দ্রুত বাড়তে পারে। এতে করে স্বল্পমেয়াদী মেয়াদী বন্যা পরিস্থিতি সৃষ্টির আশঙ্কা রয়েছে।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার গোলাম ফেরদৌস জানান, জেলা প্রশাসন থেকে বন্যার জরুরী ত্রাণ সহায়তা পাওয়া গেছে। ইউপি চেয়ারম্যানগণকে ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা দিতে বলা হয়েছে। বন্যা হলে তা মোকাবেলায় উপজেলা প্রশাসনের পূর্ণ প্রস্তুতি রয়েছে।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
© All rights reserved © 2024 Toroni24 Tv.
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com