আয়েশা (১৯) নামের এক গৃহবধূ গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে। ঘটনাটি ঘটেছে শনিবার (৪ জানুয়ারি) সন্ধ্যার দিকে রাজধানীর গাজীপুর জেলার কালিয়াকৈর থানাধীন পশ্চিমপাড়া এলাকায়। এ ঘটনার হয়রানি এড়ানোর জন্য কালিয়াকৈর থানার পুলিশকে না জানিয়ে সেই রাতেই তার স্বামী আলমগীর মৃতদেহ নিয়ে নিজ গ্রাম নওগাঁর নিয়ামতপুরে চলে আসে। পরে নিয়ামতপুর থানা পুলিশ খবর পেয়ে মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠিয়ে দেয়।
এ ঘটনার পরে নিহত আয়েশার বোনের স্বামী রবিবার (০৫ জানুয়ারি) নিয়ামতপুর থানায় বাদি হয়ে একটি অপমৃত্যুর মামলা করেন।
মামলার এজাহার সূত্রের বরাত দিয়ে আমাদের নিয়ামতপুর প্রতিনিধি জানায়, নিহত আয়েশা লালমনিরহাট জেলার কালীগঞ্জ থানার মৌজাশাখাতি এলাকার আব্দুল বারেকের মেয়ে। এগারো মাস আগে নওগাঁর নিয়ামতপুর উপজেলার পৌলানপুর এলাকার আলমগীরের সাথে বিয়ে হয়েছিল। ঢাকার গাজীপুরের কালিয়াকৈর থানাধীন পশ্চিমপাড়া এলাকার একটি ভাড়া বাসায় থাকতেন। আয়েশা ও আলমগীর উভয়ই এলাকার একটি গার্মেন্টস ফ্যাক্টরিতে কাজ করতেন। শনিবার (৪ জানুয়ারি) সকালে আয়েশাকে রেখে কাজে যায় আলমগীর। সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার দিকে আলমগীর ফিরে এসে দেখে সিলিং ফ্যানের সাথে আয়েশার মৃতদেহ ঝুলছে। তার শাশুড়ী ও শ্যালককে জানায় ঘটনাটি। পরে পুলিশি ঝামেলা এড়াতে আলমগীর নিজ গ্রামে আয়েশার মৃতদেহ নিয়ে যায়।
নিয়ামতপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাবিবুর রহমান জানান, আলমগীরের কাছে থেকে আয়েশার লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পাওয়া গেলে মৃত্যুর সঠিক কারণ নির্ণয় করা যাবে। পরিবারের অভিযোগ থাকলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।