মুন্সিগঞ্জের গজারিয়ায় একটি বসত ঘর পুড়ে ছাঁই হয়ে গেছে। অগ্নিকাণ্ডে কমপক্ষে ১৭ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে ভুক্তভোগীর দাবি। রবিবার (০১ ডিসেম্বর) দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে উপজেলার বালুয়াকান্দি ইউনিয়নের তেতৈতলা গ্রামের প্রধান বাড়িতে আগুনে পুড়ে যাওয়ার ঘটনা ঘটে। তাদের দাবি পূর্ব শত্রুতার জের ধরে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা হতে পারে। তবে কারা আগুন দিয়েছে সে বিষয়ে স্পষ্ট কিছুই জানাতে পারেনি।
এলাকাবাসী ও ভুক্তভোগী পরিবার জানায়, তেতৈতলা গ্রামের আমিরুল ইসলামের ছেলে ব্যবসায়ী কাইয়ুম প্রধান ব্যবসায়িক কাজে পরিবারসহ প্রায় ৭ বছর যাবৎ ঢাকায় থাকেন। প্রতি শুক্রবার বাড়িতে আসার চেষ্টা করেন। বরিবার দিবাগত রাত ৩টার দিকে আগুন লাগার খবর পেয়ে সকালে বাড়ি ফিরেন। কিন্তু তার ঘরে থাকা আসবাবপত্র, টাকা-পয়সা এবং স্বর্ণালঙ্কার পুড়ে ছাঁই হয়ে গেছে।
ভুক্তভোগীর বাবা আমিরুল ইসলাম জানান, বসত ঘরটি তার বড় ছেলের। ব্যবসার সুবাদে তিনি ঢাকায় রয়েছেন। রাতে পাশের বাড়ির লোকজন তাকে খবর দেয় যে, তার ছেলে কাইয়ুমের বসত ঘরে আগুন লেগেছে। তিনি বের হয়ে দেখেন বসত ঘরটিতে দাউ দাউ করে আগুন জ্বলছে। মুহূর্তের মধ্যেই ঘরটি পুড়ে ছাঁই হয়ে যায়। তবে, সে সময় ঘরে কোনো মানুষ ছিল না। পূর্বের শত্রুতার জের ধরে কোন দুষ্কৃতকারী তার ছেলের বসত ঘরে আগুন দিয়েছে বলে তিনি দাবি করেন।
কাইয়ুম প্রধানের স্ত্রী শামীমা জাহান বলেন, স্বামী কাইয়ুম প্রধান ব্যবসার সুবাদে তারা ৬ থেকে ৭ বছর ধরে ঢাকায় রয়েছেন। প্রতি শুক্রবার তার স্বামী বাড়িতে আসেন। ঘরে গ্যাস ও বিদ্যুৎ এর সংযোগ ছিল না। শুক্রবার ঘরে তালা বন্ধ করে ঢাকায় ফিরে আসেন। রবিবার রাত ৩টার দিকে খবর আসে তাদের ঘরে আগুনে লাগছে। সোমবার সকালে এসে দেখেন ঘরটি পুড়ে ছাঁই হয়ে গেছে। ঘর থেকে কিছুই বাহির করতে পারিনি। তার ঘরের আসবাবপত্র পুড়ে ছাই হয়ে যায়। এতে প্রায় ১৭ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে। তিনি অভিযোগ করে বলেন, শত্রুতার জেরে কেউ তাদের ঘরে আগুন দেয়। এ ঘটনার সুস্থ বিচারের দাবি জানান তিনি।
গজারিয়া ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের স্টেশন অফিসার রিফাত মল্লিক জানান, খবর পেয়ে তারা ঘটনাস্থলে ছুটে যান এবং আঁধা ঘন্টা চেষ্টা পর আগুন নিয়ন্ত্রণে নিতে সক্ষম হন। আগুনের সূত্রপাতের বিষয়ে তদন্ত চলছে।
গজারিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মাহবুবুর রহমান বলেন, এ ঘটনায় কেউ অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে