মুন্সীগঞ্জে জামায়াতে ইসলামের কর্মী সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। শুক্রবার (পহেলা নভেম্বর) মুন্সীগঞ্জ পৌর পার্কে এ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। মুন্সীগঞ্জ সদর উপজেলার আমির নুরুল আমিন সিকদার এর সভাপতিত্বে ও মুন্সীগঞ্জ পৌরসভার আমির এইচ এম বায়েজীদের সঞ্চলনায় পবিত্র কুরআন শরীফ তিলাওয়াতের মধ্য দিয়ে সম্মেলন শুরু হয়। সম্মেলনে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশের জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কর্ম পরিষদ সদস্য সুপ্রিম কোর্টের সিনিয়র আইনজীবী এডভোকেট মশিউল আলম। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্যে রাখেন কেন্দ্রীয় মজলিসে শুরার সদস্য মুন্সীগঞ্জ জেলা আমির আ জ ম রুহুল কুদ্দুস।

তাছাড়াও বক্তব্য রাখেন কর্মপরিষদ সদস্য মো আক্তার হোসেন, মো: আরশাদ আলী ঢালী, বিশিষ্ট চিকিৎসক ডা: সুজন শরিফ, জেলা কর্মপরিষদ সদস্য মাওলানা মোহাম্মদ হেমায়েত উদ্দিন প্রমুখ।

প্রধান অতিথির বলেন, জামায়াতে ইসলামীর প্রত্যেক কর্মীকে দা ইলাল্লাহর ভূমিকা পালন করতে হবে। মানুষের ঘরে ঘরে ইসলামের সুমহান দাওয়াত পৌঁছে দিতে হবে। সামাজিক কাজে অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে হবে। পাঁচ ওয়াক্ত সালাত মসজিদে যেয়ে আদায় করতে হবে। সকল কর্মীকে নিজেদের মান উন্নয়ন করতে হবে। তিনি আরো বলেন, আমাদের ছাত্ররা আন্দোলন করেছে বৈষম্যর বিরুদ্ধে। বাংলাদেশে ইসলামী রাষ্ট্র কায়েম হলে বৈষম্য দূর করা সম্ভব। ইসলামী রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা ছাড়া কোনভাবেই বৈষম্য দূর করা সম্ভব নয়। নিজ নিজ পরিবার থেকেই দাওয়াতি কাজ শুরু করতে হবে সকল কর্মীর স্ত্রী সন্তান যেন ইসলামী আন্দোলনের সাথে সংযুক্ত হয় সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। বিশেষ অতিথির বক্তব্যে আজম রুহুল কুদ্দুস বলেন আমরা দীর্ঘ ১৬ বছর প্রকাশ্যে কোন ধরনের প্রোগ্রাম করতে পারিনি এমনকি আমরা যদি কোন কোরআনের তালিম ক্লাস করাতাম তাহলেও আমাদেরকে সেখান থেকে গ্রেফতার করা হতো। মহান রাব্বুল আলামিন আমাদেরকে একটা সুন্দর পরিবেশ করে দিয়েছেন এই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে আল্লাহর জমিনে আল্লাহর দ্বীন প্রতিষ্ঠার জন্য সর্বাত্মক চেষ্টা চালিয়ে যেতে হবে। তিনি সকল কর্মীদেরকে আগামীতে রোকন হওয়ার জন্য আহ্বান জানান।তিনি বলেন আমরা কোন ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে ক্ষমতায় যেতে চাই না জনগণের সমর্থন নিয়েই আমরা ক্ষমতায় যেতে চাই।

এ সময় অন্যান্যদের মধ্যে আরো উপস্থিত ছিলেন সিরাজদিখান উপজেলা আমির মোঃ কবির হোসেন, লৌহজংয়ের আমির মাওলানা মোঃ আনোয়ার হোসেন, শ্রীনগর উপজেলা আমির মোঃ বেলাল হোসেন টঙ্গীবাড়ী উপজেলা আমির মাওলানা আব্দুল বারী প্রমুখ।